ধেয়ে আসছে সাইক্লোন ‘গুলাব’

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টি থেকে খানিক বিরতি মিললেও আবহাওয়ার পূর্বাভাস কিন্তু অন্য কথা বলছে। আশ্বিন মাসেও যেভাবে বৃষ্টি হয়ে চলেছে, সঙ্গে জলযন্ত্রণা। শহরের অধিকাংশ জায়গা ক্রমাগত বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হওয়ায় শহরবাসীর সমস্যা আরও বেড়েছে এই ক’দিনে। পাশাপাশি জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে এর মধ্যেই বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। শহরের বহু জায়গা এখনও জলমগ্ন। এদিকে এই পরিস্থিতিতে ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে এখনই এই সমস্যা মিটছে না। নিম্নচাপের জেরে এই বৃষ্টি চলবে এখনও কয়েকদিন পর্যন্ত। তার উপর ধেয়ে আসছে সাইক্লোন ‘গুলাব’।

    আজ মাঝরাতের দিকে, ওড়িশার গোপালপুর এবং অন্ধ্রপ্রদেশের কলিঙ্গপত্তনমের কাছে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় গুলাব। এরাজ্যে সরাসরি প্রভাব না পড়লেও আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। সেখানে হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬০ কিমি।

    ঘূর্ণিঝড় গুলাব বাংলায় আছড়ে না পড়লেও, নিম্নচাপের জেরে মঙ্গলবার থেকে দুর্যোগের শুরু হবে দক্ষিণবঙ্গে। ইনিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রকমের ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার। গুলাবের কারণে ভারী বৃষ্টি সম্ভবনা রয়েছে ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে। তবে, এর জন্য দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।

    এদিকে, রবিবার সকাল থেকেই দিঘায় ঝলমলে আবহাওয়া থাকলেও, দুপুরের পর থেকে আকাশের মুখ ভার হতে শুরু করে। বৃষ্টিও হচ্ছে দফায় দফায়। বিকেল থেকে দিঘার সমুদ্র সৈকতে আর কোনও পর্যটককে ঘেঁসতে দেওয়া হচ্ছে না। ইতিমধ্যে দিঘায় মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ।

    প্রশাসনের তরফে মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে মঙ্গলবার থেকে কোনও হোটেলে বুকিং নেওয়া হবে না। ওই নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।  যেসব পর্যটক আগে থেকেই হোটিল বুকিং করে রেখেছিলেন তাঁদের বুকিং বাতিল করে দিতে হবে বা বুকিং পিছিয়ে দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। বহু মৎস্যজীবী ইতিমধ্যেই ফিরে এসেছেন। তাঁদের নৌকাগুলিকে শক্ত করে বেঁধে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    অন্যদিকে, ক্যানিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় মাইকে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। রবিবার দুপুর থেকেই আকাশ কালো করে এসেছে মেঘ। মাঝেমধ্যে বৃষ্টিও হচ্ছে। গোসাবা, বাসন্তী, জীবনতলা, ক্যানিংয়ের গ্রামে গ্রামে প্রচার চালাচ্ছে প্রশাসন। যেসব লোকের মাটির বাড়ি তাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন প্রশাসনের লোকজন। তাঁদের উদ্দেশে বলা হচ্ছে দুর্যোগ শুরু হলেই, তাঁরা যেন নিকটবর্তী স্কুল বা সরকারি ভবনে গিয়ে উঠতে হবে। সঙ্গে রাখতে হবে পর্যাপ্ত পানীয় জল ও পর্যাপ্ত খাবার।