এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ (Cyclone Yaas)। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ২৫ মে থেকে যশের কারণে শুরু হবে বৃষ্টি। ২৬ মে থেকে শুরু হবে ভারী বৃষ্টি। ২৫ মে ৭০ কিলোমিটার গতিবেগে বইতে পারে হাওয়া। কিন্তু যশের সতর্কবার্তা থাকলেও এখনও প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। এক পশলা বৃষ্টির অপেক্ষায় বসে আছে আমজনতা। এই পরিস্থিতিতে রবিবার দক্ষিণবঙ্গের জন্য বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই জানাল আবহাওয়া দফতর (West Bengal Weather Update)। বরং আজ সারাদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। তবে, উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমে বৃষ্টিপাত হতে পারে।

    তবে, শুধু উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিই নয়, দক্ষিণবঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং নদিয়ায় বিকেলের দিকে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, এ বছর কেরলে ঠিক সময়েই ঢুকছে বর্ষা। কিন্তু বাংলায় কবে ঢুকবে বর্ষা, তা এখনও স্পষ্ট করে জানায়নি আলিপুর আবহাওয়া দফতর। জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়িতে ৭ জুন এবং কলকাতায় ১২ জুন ঢুকতে পারে বর্ষা।

    তবে, আলিপুর আবহাওয়া দফতর আরও জানাচ্ছে, শনিবার সকালে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ সোমবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এরপর তা উত্তর -উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। বুধবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে পৌঁছবে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় যশ। যদিও, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত যা মনে হচ্ছে, আমফানের থেকে কম শক্তিশালী হবে যশ।

    তবে, সোমবার সন্ধের পর থেকেই ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ৪০-৫০ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। মঙ্গলবার সেই ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমি। মঙ্গলবার থেকেই দুই রাজ্যের উপকূল এলাকায় শুরু হবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। ধীরে ধীরে সেই বৃষ্টির দাপট বাড়বে বলেই মনে করছে আবহবিদরা। সেই সূত্রে সমুদ্রে থাকা মৎস্যজীবীদের আজকের মধ্যে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় বাসিন্দা ও পর্যটকদের সতর্ক করতে প্রশাসনের তরফে আগে থেকেই মাইকে চলছে প্রচার। তৈরি রাখা হয়েছে এনডিআরএফ-কে। সেইসঙ্গে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ারও কাজ চলছে।