|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : কারখানায় সিলিন্ডার ফেটে আহত পাঁচ। হুগলির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। আহতদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে ।পোলবার ঝাঁপায় অক্সিজেন রিফিল কারখানায় বিস্ফোরণ। সিলিন্ডার ফেটে আহত হলেন পাঁচজন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে চুঁচুড়া ইমামবারা জেলা হাসপাতালে।
ঠিক কী ঘটেছিল? কীভাবে ফাটল সিলিন্ডার? কী বলছেন ওই কারখানার শ্রমিকেরা? তাঁদের কথায়, ‘আজ বিকেলে নিয়মমাফিক অক্সিজেন রিফিল করার কাজ চলছিল। হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দে একটি সিলিন্ডার ফেটে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে কারখানার চাল উড়ে যায়।’বিস্ফোরণের ফলে লোহার টুকরো ছিটকে হাত ভাঙে এক শ্রমিকের। লোহার টুকরো পেটে লেগে ছিটকে পড়েন একজন। প্রচণ্ড শব্দে কানে তালা লেগে যায় শ্রমিকদের। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত শ্রমিকদের মধ্যে মুরাদ আলি, সন্তু থাপা ও রাজা ঘোষের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। অপর দুই আহত শ্রমিক বিকাশ মণ্ডল ও ভৈরব দাসকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নাম কালিপদ মালিক। ঘটনাস্থলে পুলিশ আধিকারিকেরা হাজির হয়েছেন।অন্যদিকে, দিন দুই আগেই বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) ফের কেঁপে ওঠে পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) দাঁতনের (Danton) পুন্দড়া গ্রাম। রাতে তৃণমূল (TMC) সমর্থকের বাড়ির পেছনে সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখা ছিল বোমা। আর সেই বোমা হঠাৎই ফেটে এই বিস্ফোরণ, বলে খবর। এই ঘটনায় বাড়ি মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)। অভিযুক্তের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি (BJP) চাপানউতোর। স্থানীয় সূত্রে খবর, ১ অগাস্ট রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ অধর গড়াইয়ের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে মজুত বোমা ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে। অভিযুক্তের পরিবার নিজেদের তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি করলেও দলীয় যোগ অস্বীকার তৃণমূল শিবিরের। গেরুয়া শিবিরের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই তৃণমূলের মদতে বোমা মজুত করা হয়েছিল।