ঢাকায় সাহিত্য সম্মাননা পদক প্রাপ্তি বাংলার মতিয়ার রহমানের

নিজস্ব সংবাদদাতা : ঢাকা, আষাঢ়স্য প্রথম দিবস। তবুও মেঘের ঘনঘটা নেই। নেই বৃষ্টি যুবতির মল বাজিয়ে ধরিত্রীতে আগমন বার্তা। প্রচন্ড গরম ও দাহকে উপেক্ষা করে ঢাকা মহানগরীর শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে হয়ে গেল আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংগঠন নন্দিনী সাহিত্য ও পাঠচক্রের ৪৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন। সকাল সাড়ে নয়টায় আমন্ত্রিত অতিথিদের আসন গ্রহণ। সকাল দশটায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন কবি ও শিল্প সমালোচক হাসনাত আবদুল হাই। মোখলেছা খাতুনের পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে পাঠ ও বাংলা তর্জমার মধ্য দিয়ে সভার শুরু। সভায় সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পেশ করেন সাধারণ সম্পাদক কবি সৈয়দ নাজমুল আহসান। এই অস্থির সময়ে দাঁড়িয়ে মানুষের জন্য মানুষের ভালোবাসা কতখানি তাৎপর্যপূর্ণ এবং নন্দিনী সাহিত্য ও পাঠচক্রের উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন নন্দিনী মাতা সম্রাজ্ঞী বিদূষী সুলতানা রিজিয়া। এছাড়াও নন্দিনীর মানবিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা ও সাহিত্যের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন প্রাবন্ধিক সেলিনা খালেক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা হালিদা হানুম আখতার প্রমুখ। এই অনুষ্ঠানে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদানের জন্য জাস্টিস জহিরুল ইসলাম সহ বেশ কজনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

    সাহিত্য ও সাংগঠনিক কর্মকান্ডে বিশেষ অবদানের জন্য এ বছর সাহিত্য সম্মাননা পদক ২০২৪ প্রদান করা হয় ময়ূরাক্ষী নন্দিনীর সাধারণ সম্পাদক বীরভূমের অণুগল্পকার মতিয়ার রহমানকে। একটি সুদৃশ্য স্মারক, সম্মাননা সনদ, গ্রন্থসমূহ উপহার হিসেবে তুলে দেয়া হয়। দেশ বিদেশের প্রতিনিধিদের উজ্জ্বল উপস্থিতি, কথা কবিতা গানে সমৃদ্ধ অনুষ্ঠানের নির্যাস বহুদিন থাকবে বলে ঢাকায় এসে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বীরভূমের মতিয়ার। তাঁর জেলার ও রাজ্যের সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চাকে সবার সামনে মেলে ধরেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কবি ফিরোজা মেরী। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় আখতারুন নাহার আলো। দ্বিতীয় অধিবেশনে ছিল স্বরচিত ছড়া পাঠ। ছড়ায় প্রথম হন মতিয়ার রহমান। ছড়ার থিম ছাড়াও ছড়া পাঠে মুগ্ধ দর্শক সাধারণের হৃদয় মন জয় করে নেন তিনি।