|
---|
লুতুব আলি, ৫ মার্চ : ৫ মার্চ ঢাকার কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে পঞ্চম জাতিসংঘের সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখানে এলডিসি ৫ : সম্ভাবনা থেকে সমৃদ্ধি বিষয়কীর শীর্ষক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দোহা কর্মসূচি বিশ্বের সবচেয়ে আর্থিকভাবে বিপন্ন দেশগুলি যেন উন্নততর দেশগুলির মূল স্রোতে আসতে পারে সে ব্যাপারে আরও নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন। হাসিনা আর ও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য লাভ করেছিল। বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিকভাবে চাঙ্গা করার জন্য সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছিলেন, ঠিক এই ধরনের একটি সদর্থক ভূমিকা নেয়ার সময় তাঁকে নারকীয় ভাবে হত্যা করা হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে তা এক কলঙ্ক তম ইতিহাস। গত ৫ দশকে প্রায় সব সময়ই এলডিসি মুখপাত্র হিসাবে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে ভূমিকা পালন করে আসছে। এলডিসিতে উত্তরণ ঘটিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে বলে এদিনের সম্মেলনে হাসিনা সন্তোষ প্রকাশ করেন। মাত্র এক দশকের ব্যবধানে বাংলাদেশের দারিদ্রতার হার ৩১ থেকে ২০% নামিয়ানা হয়েছে বলে শেখ হাসিনা জানান। মায়ানমারে বাস্তু হারা ১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা বাংলাদেশ মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও জানান, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একাধিক জনসেবা মূলক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এদিনের সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস, ইউএনজি এর সভাপতি সাবা করসি, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সভাপতি লাচে জা রা সেটাইয়ে ভা, মালা বিয়ার প্রেসিডেন্ট মেকার থ্রি চাকা ওয়েএরা সহ বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক শ্যামল সান্যাল জানান, পরাধীনতার নাগপাশ থেকে উঠে এসে বাংলাদেশ স্বল্প সময়ের মধ্যে উন্নততর দেশগুলির সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে তা অত্যন্ত গর্বের বিষয়।