দক্ষিন দিনাজপুর বেলপুকুর শাখার আল- আমীন মিশনে প্রাক্তনীদের পুনর্মিলন উৎসব

রেজাউল করিমঃ দুদিন ব্যাপী দক্ষিন দিনাজপুর বেলপুকুর শাখার আল- আমীন মিশনে প্রাক্তনীদের পুনর্মিলন উৎসব ও ছাত্রছাত্রীদের সমন্বয়ে এক বর্নাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্প্ন্ন হল। ২০০২ সালে এই এই আল আমীন মিশন শাখার পথ চলা শুরু হয়। ১৫ ও ১৬ অক্টোবর দুদিনের অনুষ্ঠানে সকলের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসেবে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৪০ জন রক্তদান করেন। এছাড়াও ছাত্র , শিক্ষক ও প্রাক্তনীরা সারাদিন ধরে ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ গ্রহন করে এই অনুষ্ঠানকে নতুনমাত্রা দান করে।অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মিশনের সাধারন সম্পাদক মো: নুরুল ইসলাম। মঙ্গলবার অনুষ্ঠান স্বাগত ভাষনে নুরুল ইসলাম বলেন, একটি টিনের চালায় কয়েকজন ছাত্র নিয়ে পথ চলা শুরু করেছিল যে প্রতিষ্ঠান আজ মহিরুহে পরিনত।আজ সুখের কথা এই মিশনের ছাত্র ছাত্রীরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যে নজির গড়ে তুলছে। শিক্ষান্তে রাজ্য ছাড়িয়ে দেশের সম্পদ হয়ে উঠছে আলআমীন মিশনের ছাত্রছাত্রীরা। সমাজের গর্ব তারা। ছাত্রদের যে মেধা রয়েছে সেটার বাস্তবরুপ দেওয়ার নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছে মিশন। পিছিয়ে পড়া সমাজ শিক্ষায় এগিয়ে যাক চান মিশন কর্তৃপক্ষ। প্রকৃত শিক্ষালাভে সমাজের পরিবর্তন সম্ভব। আজকের সমাজে ছেলেদের চেয়ে সংখ্যালঘু মেয়েরাও পড়াশোনায় ভীষনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে । সরকার মেয়েদের শিক্ষা সহ সার্বিক বিকাশে নানা প্রকল্প চালু করেছে । এটাও মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট সহায়ক। বিশিষ্ট অতিথি মালদহের হোমিও চিকিৎসক ডা: আজমাল হোসেন বলেন , শিক্ষায় জাতির মেরুদন্ড। একটি জাতি শিক্ষা ছাড়া কখনও এগোতে পারবেনা। এই কাজটা করছে আলআমীন মিশন।
লক্ষ্য স্থির রেখে এগোলে একদিন সাফল্য আসবেই। ছাত্রছাত্রীদের হতাশ হলে চলবেনা। বড় হতে গেলে ও হতাশা দূর করার জন্য বড় বড় মনীষীদের জীবন সংগ্রামের কথা পড়তে হবে ও শিক্ষাগ্রহন করতে হবে। আলআমীন শিক্ষার ক্ষেত্রে রাজ্যে যে দিশা দেখাচ্ছে সেটার প্রশংসা করেন আজমাল হোসেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিকিৎসকের সহধর্মীনীও । এদিন ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন ধরনের তিনটি দেওয়াল পত্রিকার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপস্থিত অতিথিবর্গ। সকলকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপ্তি ভাষন দেন বেলপুকুর শাখার অধ্যক্ষ জনাব মোহা: মইনুদ্দিন আলি।