বজ্রপাতে মৃত্যু এখন পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রশাসনের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:- সারা রাজ্যের মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা সর্বাধিক বলে জানা গিয়েছে। বজ্রপাতে মৃত্যু এখন পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রশাসনের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বজ্রপাতের কারণে প্রাণহানি রুখতে ব্লকে ব্লকে প্রচার শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। সচেতনতা বাড়াতে স্কুলগুলিতেও পড়ুয়াদের মধ্যে প্রচার চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

    জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর,  চলতি বছরে পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনায় ৩১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে, বজ্রপাত, বন্যা, ভূমিকম্পের মতো বিপর্যয় রয়েছে। অন্যান্য জেলার মধ্যে বাঁকুড়ায় বজ্রপাতে ১৩ জন , বীরভূমে ১৫ জন , হুগলিতে ৬ জন, হাওড়ায় ৪ জন, মুর্শিদাবাদে ১১ জন, নদীয়া ৮ জন, উত্তর ২৪ পরগনা ৭ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৮ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ৭ জন, পুরুলিয়ায় ১৮ জন, আলিপুরদুয়ারে ১ জন, কোচবিহারে ৯ জনের বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে পূর্ব বর্ধমান জেলায় চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহেই  বজ্রপাতের কারণে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের।গত বছরের তথ্য অনুযায়ী, পূর্ব বর্ধমান জেলায় বজ্রপাতে ৪৯ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। এর মধ্যে জামালপুর ব্লকে মৃত্যুর ঘটনা বেশি ছিল। এ বছর ইতিমধ্যেই ২৪ জনের মৃত্যুর  ঘটনা ঘটেছে। ভিন জেলা থেকে কৃষি সংক্রান্ত কাজ করতে এসে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এর মধ্যে একজন বিহারের বাসিন্দা, বাকি দুজন ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

    এছাড়াও গাছ থেকে পড়ে গিয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও সাপের কামড়ে জেলায় মৃত্যুর ঘটনাও নেহাত কম নয়। গত এপ্রিল মাস থেকে কেবলমাত্র সাপের ছোবলে মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, শুধু বজ্রপাত বা সাপের ছোবলে নয়, যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যু আটকাতে বাসিন্দাদের সচেতন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।