|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: পল্লবী দের পর আত্মঘাতী আরও এক মডেল। দমদমের নাগেরবাজারের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল বিদিশা দে মজুমদারের দেহ। ২১ বছর বয়সী বিদিশা নিজের বাবা মায়ের সঙ্গে রামগড় কলোনির একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। ঘটনার তদন্তে নেমেছে নাগেরবাজার থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন বিদিশা। কিন্তু, কী কারণে এহেন ঘটনা তিনি ঘটালেন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিদিশার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
অভিনেত্রীর দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে তবেই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব। অন্য কোনও কারণে মৃত্যু হয়েছে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। বিদিশার প্রতিবেশী অসীম দে জানিয়েছেন, দেড় মাস আগে ওই এলাকার ভাড়া বাড়িতে থাকতে এসেছিলেন বিদিশা এবং তাঁর পরিবার। মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। জানা গিয়েছে, ‘ভাঁড় -The Clown’ নামে এক ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিদিশা মানসিক বা পেশাগত চাপের মধ্যে ছিলেন কিনা আঁচ করতে পারেনি বিদিশার পরিবার। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে অভিনেত্রীর ময়নাতদন্ত হবে বলে খবর। সেই রিপোর্টের অপেক্ষায় আছেন পুলিশ আধিকারিকরা। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে করা হলেও, অন্য কোনও আঙ্গিক এখনই উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছেনা।
Pallavi Dey -র মতোই মৃত্যুর একদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন Bidisha De Majumder। Rusha Mukherjee নামের এক মডেলের সঙ্গে ছবি আপলোড করে লিখেছিলেন, “লাভ ইউ বউ।” ওই ছবিটি দিয়েই নিজের ফেসবুক প্রোফাইলের কভার ছবিও বদলেছিলেন। ২০ ঘণ্টার মধ্যে সবটা কী ভাবে বদলে গেল, তা ভেবে স্তম্ভিত বিদিশার পরিচিতরা।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ মে গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল টেলি দুনিয়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী Pallavi Dey -র ঝুলন্ত দেহ। একইভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল শহরে। পরবর্তীতে পল্লবীর বাবা পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে অভিনেত্রীর লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল Pallavi -র বয়ফ্রেন্ডকে।
পল্লবীর বাবার বয়ান অনুযায়ী, “২০১৬ সাল থেকেই টেলি সিরিয়ালে কাজ করতে শুরু করেছিল পল্লবী। ২০২০ সালে সাগ্নিক চক্রবর্তীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল সে। আর গত ১৫ মে সকাল ৯:৩২ মিনিটে আমার স্ত্রী সঙ্গীতা দের কাছে একটি ফোন আসে। বলা হয়, আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। আমাদের গড়ফার ফ্ল্যাটে আসতে বলা হয়।”