| |
|---|
আজ ব্রেকিং,,,,,,
নুরউদ্দীন, দিল্লি:দিল্লির সংসদ ভবনের সামনে বুধবার সকালে এক নজিরবিহীন প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সাংসদরা। বাংলা ভাষা এবং বাঙালিদের প্রতি সংগঠিত নিপীড়ন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের ওপর বর্ণবিদ্বেষমূলক আচরণ এবং ভোটার তালিকা থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষের নাম বাদ দেওয়ার ঘটনায় এদিন সরব হয় ইন্ডিয়া জোট সাংসদরা । শুধু তাই নয়, বিহারে এস আই আর পদ্ধতির মাধ্যমে ভোটার তালিকা প্রক্রিয়াকে ‘ভোটার ছাঁটাইয়ের নতুন অস্ত্র’ বলে কটাক্ষ করেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা।
এদিন প্রতিবাদে উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্ট সাংসদ, তাঁদের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাঙালি সাংসদ বাপি হালদার-ও ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায়। তিনি বলেন:ভোটার তালিকায় বাঙালি নাম দেখলেই তা চুপিচুপি বাদ দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রের মদতে এস আই আর পদ্ধতির নামে গণতন্ত্রের গাড্ডা খোঁড়া হচ্ছে।”
প্রতিবাদে সাংসদেরা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠেন,ভোট চুরি বন্ধ করো!”
বাঙালির ভোট কেড়ে নিতে দেব না! ভোটার তালিকা থেকে বাঙালির নাম বাদ কেন?”
এস আই আর নয়, জনগণের অধিকার চাই! তাঁদের অভিযোগ, এস আই আরের ছুতোয় শুধু বিহারে নয়, অসম, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার মতো রাজ্যগুলিতেও লক্ষ লক্ষ সংখ্যালঘু এবং বিশেষত বাঙালি ভোটারদের নাম চুপিসারে বাদ দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের ওপরে হেনস্থা ও করা হচ্ছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার এই অপচেষ্টার পেছনে কেন্দ্রের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও তাঁরা দাবি করেন।
আবার-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলা ভাষাকে অপমান করা, বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের অনুপ্রবেশকারী বলে দাগিয়ে দেওয়া এবং সরকারি চাকরি বা অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগও এদিন তুলেছেন ইন্ডিয়া জোট সাংসদরা। এক সাংসদ বলেন,ভোটের আগে বাঙালিদের দরকার, আর পরে তাঁদেরই নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে কেন্দ্র! এটা চলতে পারে না। এদিন সাংসদরা আন্দোলনের হুঁশিয়ারিয় স্পষ্ট জানান-যদি এই বর্ণবৈষম্যমূলক ও ভোটারবিরোধী আচরণ বন্ধ না হয়, এবং এস আই আরের মাধ্যমে নাম বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলতে থাকে, তবে আগামী দিনে দেশজুড়ে বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
তাঁদের হুঁশিয়ারি:
গণতন্ত্র রক্ষা করতে এবার পথে নামবে ইন্ডিয়া জোট। ভোটের অধিকার রক্ষায় রাস্তাই আমাদের শেষ ঠিকানা হলে, সেখানেই লড়াই হবে।”
এই প্রতিবাদ কর্মসূচি যতটা ছিল সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার ডাক, ততটাই ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের দমননীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। বাংলা ভাষা, বাঙালির অধিকার, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষার প্রশ্নে ইন্ডিয়া জোট যে এবার অনেক বেশি আগ্রাসী অবস্থানে যাচ্ছে, আজকের দৃশ্য তার ইঙ্গিত স্পষ্ট দিয়ে গেল। এই প্রতিবাদে ইন্ডিয়া জোটের বার্তা স্পষ্ট — SIR নয়, ব্যালট ফিরাও, ভোটার অধিকার রক্ষা করো। বাংলা ভাষা, বাঙালি ও গণতন্ত্রের অপমান আর সহ্য করা হবে না।


