চাঁচলকে পৌরসভায় পরিণত করতে ও বেকারদের ভাতা প্রদান সহ একাধিক দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল

উজির আলী, নতুনগতি,চাঁচলঃ২১ সেপ্টেম্বর

    সকলের জন্য শিক্ষা এবং শিক্ষা শেষে কাজ,
    কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত সকল বেকারের মাসে নূন্যতম ৬০০০ টাকা বেকার ভাতা প্রদান,
    ১০০ দিন কাজের বদলে ২০০ দিন,
    চাঁচলকে পৌরসভা গঠনের দাবী সহ একাধিক দাবীতে যৌথভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করলো মালদা জেলা এসএফআই ও ডিওয়াই এফআই কমিটি।
    সোমবার বিকেলে সিপিআইএমের দলীয় কার্যালয় মুজাফ্ফর আহম্মেদ ভবনে থেকে সমর্থকরা মিছিল করে গোটা চাঁচল শহর পরিক্রমা করে। পরে তরলতলায় একটি বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

    চাঁচল কলেজ রোডে DYFI ও SFI এর মিছিল

    সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন রাজ‍্য ডিওয়াইএফআই এর প্রাক্তন রাজ‍্য সম্পাদক জামির মোল্লা, সিপিআইএম এর রাজ‍্য কমিটির সদস‍্য জামিল ফিরদৌস, চাঁচল ১ নং ব্লক ডিওয়াইএফ আই ও এসএফআই এর সম্পাদক সানাউল্লাহ খান সহ মহকুমা স্তরের কমরেড সমর্থকেরা।

    সমাবেশ মঞ্চ থেকে বাম ছাত্ররা

    এদিন চাঁচলে ওই সমাবেশে রাজ‍্যের প্রাক্তন ডিওয়াইএফআই-এর সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন,রাজ‍্য ও কেন্দ্রীয় সরকার বেকার যুবকদের প‍্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছে। বেকারদের কাজ নেই। আজ বেকারত্বের কারনে অনেকেই আত্মহত্যা করছেন। শিক্ষা আছে কাজ নেই এই রাজ‍্যে।কর্মহীন রয়েছে কোটি কোটি যুবক-যুবতী।

    বক্তব‍্য রাখছেন DYFI এর প্রাক্তন রাজ‍্য সম্পাদক জামির মোল্লা

    তিনি রাজ‍্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, ওরা ইমামভাতা আর পুরোভিত ভাতা দিতে পারে, কিন্তু যুবকদের কাজ দেয়না।
    আশ্বাসের বদলে উচ্চ শিক্ষা অর্জনকারী যুবকদের চোপ ভাজার পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জামিরের কটাক্ষ।

    বেকার যুবকের কাজ না দিলে মাসিক ৬০০০ হাজার টাকা প্রদানের দাবী তুলেছেন তিনি।
    কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি বঞ্চনা করে জামিল বলেন, কৃষকদের নিয়ে ছিনিবিনি খেলছেন প্রধানমন্ত্রী। পেট্র পণ‍্য থেকে শুরু জ্বালানী গ‍্যাসের মূল‍্য বৃদ্ধি ঘটাচ্ছেন।
    যার ফলে সাধারণ মানুষ বিপাকে রয়েছে।

    সমাবেশে বাম সমর্থকেরা

    এদিকে চাঁচল ১ নং ব্লকের এসএফআই এর সভাপতি অভিজিৎ দাসর অভিযোগ করে বলেন, ২০১০ সালে রাজ্যে ১৩টি পুরসভা গঠনের কথা ঘোষণা করেছিল তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার। তার মধ্যে আমাদের চাঁচলের নামও ছিল। রাজ্যে পালাবদলের পরে ২০১৪ সালে তৃণমূল সরকারের তরফেও চাঁচলকে পুরসভা বলে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এখনও তা চালু হয়নি। গত বিধানসভা ভোটের আগে চাঁচলে নির্বাচনী প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য সভায় চাঁচলে পুরসভা গঠনের কথা জানিয়েছিলেন। তবে ফের ২১ শের বিধানসভা এগিয়ে তবুও চাঁচল পঞ্চায়েত থেকেই গেছে। আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগের চাঁচল পৌরসভা হবে কি? সেই নিয়ে চাঁচলবাসীর মধ‍্যে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। পৌরসভা না হওয়ার জন‍্য শাসক দলকেই দায়ী করেছেন তিনি।

    চাঁচল ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি শচ্চীদানন্দ চক্রবর্তী বলেন, বামফ্রন্ট মিছিল সমাবেশ করতে পারে। কাজ তো কিছুই করেন না। ওরা ৩৪ বছর মিছিল আর বিক্ষোভ করেই কাটিয়েছেন।কাজ তো করছেন তৃণমূল সরকার।
    বর্তমানে রাজ‍্যসভার সাংসদ হিসেবে শপথ বাক‍্য পাঠ করেছেন মৌসম নূর।
    শচ্চীনানন্দ বলেন, রাজ‍্যসভার সাংসদের সাথে পৌরসভা নিয়ে আলোচনা করব।
    বিধানসভা ভোটের আগে হোক বা পরে চাঁচোল পৌরসভায় পরিণত হবেই বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।