|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা, নতুন গতি, মেদিনীপুর : নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি(এবিটিএ) পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের ( মাধ্যমিক) নিকট শিক্ষা, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের সুনির্দিষ্ট কিছু দাবীর ভিত্তিতে করোনা পরিস্থিতির মাঝেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
যে যে দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবি গুলি ছিল-
২০২০ সালের উচ্চ-মাধ্যামিক পরীক্ষার অবশিষ্ট বিষয়গুলির পরীক্ষা করোনা পরিস্থিতিতে গ্রহণ করতে হলে তা বিজ্ঞান সম্মত ভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে উপযুক্ত শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর নিদিষ্ট দিনের আগেই ও পরবর্তী দিনগুলির মাঝে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি সরকারী ব্যবস্থাপনায় উপযুক্ত ভাবে স্যানিটাইজেশন করা ।পরীক্ষার দিনগুলিতে পরীক্ষার্থীদের জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা সচল রাখা।পরীক্ষা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক মজুত রাখা। সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করা।আমফান ঝড়ের কারনে কোন পরীক্ষার্থীর এডমিট কার্ডসহ অন্য কোন নথি নষ্ট হয়ে গেলেও পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া।২০২০ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত অনলাইনে প্রকাশ করা।
১লা জানুয়ারী ২০১৬ থেকে ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৯ এর মধ্যে যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মী অবসর গ্রহণ করেছন, তাঁদের রোপা-২০১৯ অনুযায়ী পে-ফিক্সেশান করে বর্ধিতহারে পেনশন ও অন্যান্য সুযোগ প্রদান করা। নানাকারনে অবসরপ্রাপ্তদের একাংশকে পেনশনপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে-বিষয়টি অবিলম্বে সেই সব বিষয় গুলির সমাধান করা ।
জেলার শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের মার্চ ২০২০ বেতন ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে যুক্ত করে ১৩ মাসের আয় ধরে ইনকাম ট্যাক্সের হিসাবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদে আর্থিক লোকসানের বিষয়ে দ্রুত সমাধান করতে হবে এবং যাতে কোন শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মী আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হন সে বিষয়টি সুনিশ্চিত করা।
এই সময়কালে ১০,২০,১৮ বছরের চাকুরি পূর্ণাতার যে বেনিফিট শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মীর পান তা পাবার ক্ষেত্রে রোপা-২০১৯ এ ফিক্সেসনের জটিলতা দূর করা।