|
---|
উজির আলী, নতুন গতি, মালদা: রাজ্যের প্রায় ৩৩ হাজার ভি.আর.পি ২০১৫ সালে সম্পূর্ন সরকারি নিয়ম নির্দেশে পরীক্ষা দিয়ে সোশ্যাল অডিটের কাজে নিযুক্ত হয় গ্রামীন সম্পদ কর্মী পদে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীন স্যোসাল অডিট দপ্তরের সমস্ত ভি.আর.পি-রা রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে এবং প্রতিটি কাজে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে চলেছে করোনার অতি মহামারীতেও। তবে নেয় ন্যায্য প্রাপ্য। করোনার সঙ্কটজনক মুহুর্তে তাদেরও দুর্দশার ছবি ফুটে উঠছে রাজ্য জুড়ে। বাধ্য হয়ে কর্মীরা স্থানীয় ব্লক দপ্তরে করছেন বিক্ষোভ অবস্থান এবং বিডিওর হাতে জমা দিয়েছেন ডেপুটেশন। রাজ্য সরকার তাদের কথায় সায় দেয়না। তার জন্যই এই উদ্যোগ কর্মীদের।
এদিন চাঁচল এলাকার ভিআরপি কর্মীরা
স্পর্শকাতর ডেঙ্গু ও মারন ব্যাধি করোনার কাজের জন্য উপযুক্ত প্রোটেকশনের ব্যবস্থা করার দাবী, তাদের স্বাস্থ্যসাথী ও জীবন বীমা চালু ও সরকারি কর্মচারীর সমমর্যাদা দেওয়া সহ মোট ৬ ই দফা দাবীতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে সংগঠনের তরফে।
সারা রাজ্যের পাশাপাশি মালদহের চাঁচল ১ নং ব্লকেও বৃহস্পতিবার দেখা গেলো একই দৃশ্য। করোনার সঙ্কটে অস্বচ্ছলতা দেখা দিয়েছে সংসারে। তাই মহামারীকে উপেক্ষা করে শতাধিক কর্মী এদিন চাঁচল-১ ব্লক দপ্তরে বিক্ষোভ দেখান। স্বাস্থ্য বিধিকে মান্যতা দিয়ে পাঁচজনেল প্রতিনিধি দল দপ্তরে জমা করেন ৬ দফার ডেপুটেশন। ডেপুটেশন পেয়ে ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দাবীগুলি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
ডেপুটেশন জমা করে গনমাধ্যমকে ভিআরপি কর্মী মোহাম্মদ সাকিল আলম জানান,
যে কাজ বছরে দুই বার হওয়ার কথা, কিন্তু বর্তমানে বছরে একবার-ই আমাদের কে সেই কাজ প্রদান করা হয় বলে তাদের অভিযোগ। এর পাশাপাশি তারা আরও জানান “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আমদেরকে বছরে ২৪০ দিন পতঙ্গ বাহিত রোগ নির্ণয় এব কাজ করার মত সুযোগ করে দিয়েছেন। সেই কাজ আমরা সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে করি এবং দিনের শেষে মাত্র ১৭৫ টাকা পারিশ্রমিক পাই। আমরা মাসে ২০ দিন কাজ পাই অর্থাত্ মাসে ৩৫০০ টাকা সম্মানিক হিসাবে পেয়ে থাকি।
ভিআরপি কর্মীরা সংশয় প্রকাশ করে বলেন,
বাড়ি পরিদর্শন করতে গিয়ে ভিআর.পি- এর রোগাক্রান্ত হলে কিংবা কর্মরত অবস্থায় ভি.আর.পি-র মৃত্যু হলে সেই পরিবারকে চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়তে হচ্ছে।
ভি.বি.ডি.সি, কোভিড-১৯, সহ এস.এ.ভি.আর.পি বা (গ্রামীন সম্পদ কর্মী) তারা আরো বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ কবেন যেমন খাদ্য সাথী, স্বাস্থ্য সাথী, আস্ফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে মানুষকে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া, ভোটার ভেরিফিকেশন, কৃষক বন্ধু, ফসল বীমা, বাড়ি বাড়ি ফুড কুপন বিতরণ প্রভৃতি। অথচ আর্থিক দিক থেকে সরকার ভি.আর.পি দের একদমই দেখেনি বলে অভিযোগ চাঁচলের গ্রামীন সম্পদ কর্মী সংগঠনের।