ঐক্যশ্রী স্কলারশিপের”সমস্যা সমাধানের জন্য WBMDFC অফিসে ডেপুটেশন দেওয়া হয়

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: ঐক্যশ্রী স্কলারশিপের”সমস্যা সমাধানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার WBMDFC অফিসে ডেপুটেশন দেওয়া দেওয়া হয়।

    পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি সাজিদুর রহমান জানান- “আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে স্কলারশিপের টাকা না পাওয়ার কারণ জানতে চেয়েছিলাম, এক রাতের মধ্যে প্রায় ১০ হাজারের অধিক ছাত্র-ছাত্রী আমাদের ইমেল করে তাদের সমস্যার কথা জানায় ।”

    এই বছর যারা টাকা পেয়েছে তারা অনেক কম টাকা পেয়েছে, যাদের ৬৬০০ টাকা পাওয়ার কথা তারা মাত্র ৪৭০০ টাকা পেয়েছে। ব্যাংক একাউন্টে কোন সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও অফিস থেকে ইনভ্যালিড বা রিজেক্ট কিংবা নট রেসপন্স বিভিন্ন রকম স্ট্যাটাস শো করছে ওয়েবসাইটে। তাঁদের এই দায়বদ্ধতাহীন কর্মের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।

    লক্ষ লক্ষ টাকা ছাত্র-ছাত্রীদের নামে সরকারীভাবে পাস হয়ে গেলেও ছাত্র-ছাত্রীদেরকে তা দেওয়া হচ্ছে না কেনো? এমনকি ২০১৭,১৮,১৯,২০ সালে প্রত্যন্ত গ্রামের প্রচুর শিক্ষার্থী এই স্কলারশিপের টাকা পাইনি সেই টাকাগুলো গেল কোথায় ! আমরা এই সকল শিক্ষার্থীদের হয়ে এ বিষয়ে তাঁদের কাছে জানতে চাইলে অনেক অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন বিভাগের অফিসাররা।

    মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্বাসউদ্দীন সরদার বলেন, এই করোনা মহামারীতে অনেক অভিভাবক কর্মহীন হয়ে পড়ায় সংসার চালানো অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে , এর মধ্যে যদি ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের প্রাপ্য স্কলারশিপের টাক ঠিকমত না পায় তাহলে এর থেকে দুর্ভাগ্য আর কিছুই হতে পারে না। আমরা চাই বাংলার প্রত্যেক সংখ্যালঘু ছাত্র-ছাত্রী এই স্কলারশিপের টাকাটা যেন সঠিকভাবে পায় ।

    ছাত্র ছাত্রীদের যে সমস্যা গুলোর শিকার হতে হচ্ছে-
    ১. দীর্ঘদিন ধরে লট নম্বর না দেওয়া , লট নম্বর দিলেও ৩ মাস ধরে স্ট্যাটাস পরিবর্তনে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
    ২. অনেকেই প্রাপ্য টাকার থেকে অনেক কম টাকা পেয়েছে ।দেখা গেছে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্ররা যেখানে ২৭ হাজার টাকা পাওয়ার কথা সেখানে ১৫ হাজার পেয়েছে। ৬৬০০ যারা পাওয়ার কথা তারা ৪৭০০ পেয়েছে।
    ৩. ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সমস্ত কিছু ঠিক থাকলেও নট ম্যাচ দেখাচ্ছে।
    ৪. কিছু দিনের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিবর্তন করার সাইট খুলে দিলেও সেটা দ্রুত বন্ধ করে দিয়েছে।
    ৫. ৪ থেকে ৫ মাসের অধিক অনেকের Waiting for response দেখাচ্ছে ।
    ৬. বিভিন্ন সিস্টেমের নামে ও পেমেন্ট মডিউলের নামে ছাত্রদেরকে পক্ষান্তরে হয়রানি করাচ্ছে স্কলারশিপের টাকা দিতে গিয়ে।