তৃণমূল কর্মীদের হাতেই আক্রান্ত তৃণমূলের উপপ্রধান

শুভ চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর:- তৃণমূল কর্মীদের হাতেই আক্রান্ত তৃণমূলের উপপ্রধান সহ তার এক অনুগামী এমনই অভিযোগ,রক্তাক্ত অবস্থায় উপপ্রধানকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হল হাসপাতালে।যদিও দলের উপপ্রধানের উপর হামলার ঘটনায় নাম জড়ানো তৃণমূল নেতারা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই ঘটনায় চাপা উত্তেজনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দু নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুরে।তৃণমূল কর্মীদের হাতেই আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠলো ভগবন্তপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ইকবাল সরকার।উপপ্রধান ও তার অনুগামীদের অভিযোগ,আজ দুপুর নাগাদ ইকবাল সরকার তার এক সহকর্মী আবদুল রহমান খন্দকারের সাথে বাইকে চড়ে কৃষ্ণপুরে নিজের এলাকায় ফিরছিল আর সেই সময় মাঠের মধ্যে একটি ফাঁকা রাস্তায় বারাসাত এলাকায় তার উপরে বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী চড়াও হয়ে মারধর করেছে বলে অভিযোগ।যদিও মারধরের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ভগবন্তপুর এক নম্বর অঞ্চল তৃণমূলের কনভেনার হাসানউল্লাহ মন্ডল,কৃষ্ণপুরের দাপুটে তৃণমূল নেতা রাকেশ সরকার সহ বেশ কিছু তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে,আর এই অভিযোগ তুলছেন খোদ তৃণমূলের উপপ্রধান সহ অঞ্চলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতিও। কিন্তু কি কারণে হঠাৎ করে উপপ্রধানের ওপরে এই হামলা তা স্পষ্ট নই।

    তবে সূত্রের খবর,বেশ কিছুদিন আগে ভগবন্তপুর এক নম্বর অঞ্চল তৃনমূলের সভাপতি আরমান আলি খাঁনকে সরিয়ে তার পরিবর্তে নতুন অঞ্চল কনভেনার করা হয় হাসানউল্লাহ মন্ডলকে।অঞ্চল তৃণমুল কনভেনার হাসানউল্লাহ মন্ডল,অঞ্চলের দাপুটে তৃণমূল নেতা রাকেশ সরকার সহ বেশকিছু তৃণমূল নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উপপ্রধান ইকবাল সরকারকে মারধরের ঘটনায়।আক্রান্ত ইকবাল সরকার তথা উপ প্রধান সদ্য প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি আরমান আলি খাঁনের অনুগামী বলেই পরিচিত।অপরদিকে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে উপপ্রধানকে মারধরের সেই অঞ্চলের বর্তমান কনভেনার হাসানউল্লাহ মন্ডল,রাকেশ সরকার অঞ্চলের অপর একটি গোষ্ঠী বলে জানাযায়। অঞ্চলের পদকে নিয়েই প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি আরমান আলি খাঁন ও বর্তমান অঞ্চল কনভেনার হাসানউল্লাহ মন্ডল,রাকেশ সরকার এই দুই গোষ্টীর বিবাদ রয়েছে বলে খবর।যদিও উপপ্রধানকে মারধরের ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযুক্ত পক্ষের তরফে তথা বর্তমান অঞ্চল কনভেনারের অনুগামী রাকেশ সরকারের পাল্টা প্রতিক্রিয়া,মারধরের ঘটনা কথা তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখেই শুনলেন,পুরো বিষয়টি সাজানো এবং মিথ্যা।উপপ্রধান এমনিতেই এলাকা ছাড়া ছিলেন বলে জানি বিভিন্ন জায়গায় দেনা করার ফলে,এলাকায় ওকে দেখা যায়নি আগে।তবুও সে দলেরই উপপ্রধান যদি তাকে কেউ মারধর করে থাকে তাহলে প্রশাসনকে বলবো সঠক তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক।আমরা এর সাথে কেউ জড়িত নই,মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।”আর এই অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে চাপা উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভগবন্তপুর এক নম্বর অঞ্চলে।