কম আসন পাওয়ার সত্ত্বেও পুনরায় মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতীশ কুমার

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: বিহারে পুনরায় মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। রবিবার পটনায় নীতীশ কুমারের বাসভবনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ‘এনডিএ’ বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই সর্বসম্মতিক্রমে নীতীশ কুমারকে এনডিএ বিধায়ক দলের নেতা নির্বাচিত করা হয়। এরপরেই রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে সরকার গঠনের দাবি জানাতে যান নীতীশ। নয়া সরকার গঠনের জন্য রাজ্যপালের কাছ থেকে আমন্ত্রণ পাওয়ার পরে নীতীশ কুমার বলেন, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় শপথ অনুষ্ঠান হবে।

     

     

     

    এ দিকে, গত মন্ত্রিসভায় বিজেপি নেতা সুশীল মোদি-নীতীশ মন্ত্রিসভায় উপ-মুখ্যমন্ত্রী থাকলেও এবার তিনি আর উপ-মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন না। এর ফলে নীতীশ-সুশীল জুটি এবার থাকছে না। সুশীল মোদিকে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হবে। সুশীল মোদির পরিবর্তে এবার তারকিশোর প্রসাদ উপ-মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তিনি এবার কাটিহার কেন্দ্রে বিজেপি বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। ওই ঘটনায় প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী কিছুটা ব্যথিত হয়েছেন। তিনি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘বিজেপি এবং সংঘ পরিবার ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে আমাকে এত কিছু দিয়েছে যে সম্ভবত অন্য কোনও ব্যক্তি তা পাননি। পরবর্তীতেও যে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তাও আমি সম্পাদন করব। কর্মীপদ তো কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।’

     

     

     

    তাঁর চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ দূর করতে মাঠে নেমেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিং। তিনি এক বার্তায় বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় সুশীলজি, আপনি নেতা, আপনার কাছে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছিল, ভবিষ্যতেও আপনি বিজেপির নেতা থাকবেন। পদে থেকে কেউ ছোট বড় হয় না।’ এনডিএতে বিজেপি-র সর্বাধিক ৭৪ বিধায়ক রয়েছে। অন্যদিকে– নীতীশের জেডিইউএর রয়েছেন ৪৩ জন বিধায়ক। জোটের সহযোগী ‘হাম’ এবং ‘ভিআইপি’ দলের ৪টি করে আসন রয়েছে।

     

     

     

    এনডিএতে নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ কম আসন পাওয়া সত্ত্বেও তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে যাওয়ায় কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তারিক আনোয়ার। তিনি আজ বলেন, ‘নীতীশ কুমার যতই আবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হোন না কেন, এবার রাজ্যের লাগাম অন্য কারও হাতে থাকবে এবং নীতীশ রিমোটচালিত মুখ্যমন্ত্রী হবেন।’ সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে আলাপকালে তারিক আনোয়ার আরও বলেন, বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে এবং রাজনৈতিক কৌশলগত কারণে নীতীশ কুমারকে দুর্বল করেছে।