|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই রাজ্যে শেষ হল বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। সরকারিভাবে বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলে। রাজ্যের ৪ জেলায় ৩০টি আসনে মোট ৮০.৪৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।
দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সাড়ে ৫টা পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরে ৮১.২৩, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৭৮.০৫, বাঁকুড়ায় ৮২.৭৮ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭৯.৬৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।
দ্বিতীয় দফায় রাজনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রে ছিল নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রাম দখলে জোরদার টক্কর ছিল তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম বিজেপি নেতা তথা মমতার প্রাক্তন সহযোগী শুভেন্দু অধিকারীর। তবে পূর্ব মেদিনীপুরের ওই আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার ঘণ্টা দু’য়েকের মধ্যে এক বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়।
নন্দীগ্রাম-সহ চার জেলার বেশ কিছু কেন্দ্রে কাজ করেনি কমিশনের ওয়েব কাস্টিং ব্যবস্থাও। অধিকাংশ জায়গায় ক্যামেরা ঘুরিয়ে রাখা এবং নেটওয়ার্ক-জনিত সমস্যার অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। তবে মোটের ওপর নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণ শান্তিতেই হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। ভাঙাবেড়া, সোনাচূড়ার মত এলাকায় ভোটের লাইনে মহিলা ভোটারদের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মত। কমিশনের ভূমিকায় খুশি গ্রামবাসীরা।
এ ছাড়া, দিনভর বিক্ষিপ্ত অশান্তি দেখা গিয়েছে কেশপুর, ডেবরা, সবং এবং দাসপুরের মতো জায়গাগুলিতে। বেশ কিছু জায়গা থেকে ই ভি এম বিকলের খবর আসে। পূর্ব মেদিনীপুরে কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত উত্তেজনা ছড়ালেও বৃহস্পতিবার ওই জেলার বিভিন্ন বুথে ভোটের লাইনে ভিড় চোখে পড়েছে।
কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, সাড়ে ৫টা পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে ভোট পড়েছে ৮০.৭৯ শতাংশ। এ ছাড়া, ওই সময়ের মধ্যে চণ্ডীপুরে ৮১.১৫ শতাংশ, হলদিয়ায় ৮০.৪৫ শতাংশ, মহিষাদলে ৮১.৯৩ শতাংশ, ময়নায় ৮১.৫৬ শতাংশ, নন্দকুমারে ৮২.৩৬ শতাংশ, পাশকুঁড়া পশ্চিমে ৮১.৬৭ শতাংশ, পাশকুঁড়া পূর্বে ৮০.৯৪ শতাংশ এবং তমলুকে ৮০.২৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের উল্লেখযোগ্য আসনগুলির মধ্যে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ডেবরায় ৮৩.১০ শতাংশ, ঘাটালে ৭৬.২৯ শতাংশ, খড়্গপুর সদরে ৬৮.৩৩ শতাংশ এবং সবংয়ে ৮১.২৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।