যশ নামক ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবলীলা এখনো সমাপ্ত হলো না

বাবলু হাসান লস্কর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা: শেষ সম্বল টুকু আঁকড়ে ধরে হাজার হাজার মানুষ এই মুহূর্তে খোলা আকাশের নিচে দিনযাপন করছেন। নুন আনতে পান্তা ফুরায় যাদের পরিবার, সেখানে প্রভাব পড়ল ইয়াস নামক ঘূর্ণিঝড় । করোনা নামক মারণব্যাধিতে আক্রান্ত একের পর এক মানুষ জন, তার উপরে যশের তাণ্ডবলীলা মরার উপর খাড়ার ঘাঁ। এই মুহূর্তে কাটেনি আকাশের ঘনঘটা মেঘ, একের পর এক নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতেই চলেছে নূতন গ্রাম। কে বা বলতে পারে এই মুহূর্তে আমরা সুরক্ষিত। ইতি মধ্যে হাজার হাজার মানুষের আশ্রয়স্থল কেড়ে নিয়েছে এই যশ নামক ঘূর্ণিঝড় ।শেষ মুহূর্ত এখনো অসমাপ্ত, তার পরেও একের পর এক বাঁধ ভাঙার দৃশ্য সামনে আসছে। এলাকায় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের আধিকারিক বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উদ্ধার কাজে নেমে পড়লেও সাধারণ মানুষের কতটুকু বা পাশে থাকতে পারবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তায়। একের পর এক মানুষ যেভাবে স্বজনহারা ব্যথা নিয়ে লকডাউনের মধ্যেও দিন পার করে চলছেন। যশ নামক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের করুণ চিত্র ক্যামেরা বন্দী করতে চিত্র সাংবাদিক বন্ধুদের দল বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন তার নজির কোলকাতা টিভির সুচন্দিমা। মেদিনীপুর সহ দুই চব্বিশ পরগনা সহ বিভিন্ন এলাকা একের পর এক নদী ভাঙনের চিত্রে। এর মধ্যে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস, করোনা নামক মহামারীর গ্রাস, অপরদিকে একে একে নদীর বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত । সাধারণ মানুষ কি পারবে এই ক্ষতি থেকে তাদের নিজের পরিবার কে সুরক্ষিত রাখতে। ইতি পূর্বে দীর্ঘদিন ধরে লগডাউনে দেশের অর্থনীতি তলানিতে ঠেকেছে । দিন মজুরের পরিবারের মিলছে না এই মুহূর্তের খাদ্যের যোগান । তারপরে ও সাধারন মানুষের পরিষেবা দেওয়ার জন্য জনপ্রতিনিধিরা দুয়ারে দুয়ারে ঘুরলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে মিলছেনা ত্রাণ। নিজেদের পরিবারকে এই মূহুর্তে সুরক্ষিত রাখার অদম্য প্রচেষ্টার করুণ চিত্র উঠে আসছে। একে অপরের সঙ্গে বলাবলি করছেন, পাবেকি তারা বেঁচে থাকার সামান্য টুকু আশ্রয়। সরকার কি দাঁড়াবে তাদের পাশে,বিষাদের মধ্যে করুণ অবস্থায় দিনযাপন করছেন। পূর্ণিমার মধ্যে ধ্বংসলীলায় পরিণত হয়েছে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। কেবলমাত্র পূর্ণিমার আলোয় তাদের সামনে রাতের অন্ধকার টুকু কিভাবে কেটে যাচ্ছে। বেদনার এক করুন কাহিনী ফুটে উঠতে শুরু করেছে। চারিদিকে লবণাক্ত জলের সাথে সাথে বজ্র পদার্থ, চাষের জমির ফসল পুকুরে মরা মাছের দুর্গন্ধ নাকে যেভাবে আসতে শুরু করেছে, তাতে বাড়বে সংক্রামন । এই মুহূর্তে প্রশাসন কে সামনে রেখে এলাকা বাসী দের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জঞ্জালমুক্ত পরিবেশ কে পরিষ্কার করা । না হলেও আগামী দিনে মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে,এই সমস্ত এলাকা। এই মুহূর্তে নোনা জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থার সাথে সাথে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর ব্যবস্থা।