|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : কয়েকদিন আগেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে বোনের। তবে ওই মহিলা স্বামীর কাছ থেকে খোরপোশ চেয়েছিলেন। কিন্তু বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি দাদা। একাধিকবার বারণও করেছিলেন বোনকে। তবে শোনেনি। এতেই মাথায় চড়ে যায় রক্ত। আর তার পরিণতি হল ভয়ঙ্কর।জখম বোনের নাম মুনমুন মিত্র। অভিযুক্ত দাদা হলেন দেবদাস মিত্র। বোনের বিবাহবিচ্ছেদের পর খোরপোশের দাবি মেনে নিতে পারেননি দেবদাস। তার জেরেই বোনের গলায় ছুরি চালিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া অরবিন্দনগর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকায় এক ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই ভাড়া থাকেন মুক্তা মিত্র নামের এক বৃদ্ধা। এই মুক্তা দেবীর মেয়েই মুনমুন আর ছেলে দেবদাস। বেশ কয়েকদিন আগে ধুমধামের সঙ্গেই মুনমুনের বিয়ে হয় কলকাতা নিবাসী এক যুবকের সঙ্গে। ওই যুবক পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তবে, বিয়ে টেকেনি মেয়েটির। ডিভোর্স হয়ে তাঁদের।এরপরই শুরু হয় ঝামেলার। জানা গিয়েছে, আদালতে মুনমুন তাঁর প্রাক্তন স্বামীর কাছ থেকে খোরপোশ দাবি করেন। তবে দাদা দেবদাস বোনের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি। একাধিকবার বারণও করে তাঁকে। কিন্তু দাদার কোনও কথাই কানে তোলেন না মুনমুন। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে ভাই-বোনের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধে চরমে।অভিযোগ, বিকেল নাগাদ দেবদাস আচমকাই ফল কাটার ছুরি চালিয়ে দেয় বোনের গলায়। বৃদ্ধা মা বাধা দিতে গেলে ছুরির আঘাত লাগে মুক্তাদেবীর হাতেও। এরপরই দেবদাস ঘরের একটি রুমে ঢুকে দরজায় খিল দিয়ে নিজের গলায়ও ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ঘটনার পরই বৃদ্ধার মা এর চিৎকারে ছুটে আসে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই খবর দেয় পুলিশে।পরে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আহত বোন মুনমুন মিত্রকে উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানোর পাশাপাশি দরজা ভেঙে গুরুতর আহত দেবদাস মিত্র ও বৃদ্ধা মা মুক্তা মিত্রকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠায় পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।