|
---|
উত্তরপ্রদেশ: উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন আরও এক মন্ত্রী। তিনি যোগী রাজ্যের অন্যতম দলিত নেতা ধরম সিং সাইনি। তিনি BJP ছাড়তে পারেন, এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল স্বামী প্রসাদ মৌর্যের দলত্যাগের পর। ২৪ ঘণ্টা আগেও বিষয়টিকে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন দলিত নেতা। কিন্তু, একরাত কাটতে না কাটতেই এবার তিনিও পদত্যাগ করলেন। সাহারানপুরের নাকুর কেন্দ্র থেকে চার বারের বিজয়ী বিধায়ক ধরম সিং সাইনি। SP Maurya দল ছাড়ার পরেও সাইনি তাঁকে কটাক্ষও করেছিলেন।
তিন দিনের মধ্যে এই নিয়ে আট জন নেতা যোগী শিবির ছাড়লেন বলে সূত্রের খবর। কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে, দলত্যাগী সমস্ত দলিত নেতাই অখিলেশ যাদব সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিতে পারেন। এদিন অখিলেশ সরাসরি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দলিত নেতাকে। তাঁর টুইট, ‘সামাজিক ন্যায়ের জন্য আরও এক যোদ্ধা ডা. ধর্ম সিংয়ের আগমনে আমাদের সকলের মিল হচ্ছে। আমাদের ইতিবাচক এবং প্রগতিশীল রাজনীতি আরও উৎসাহ পেল। সপায় ওঁকে স্বাগত জানাই। অনেক অনেক অভিনন্দন! বাইশে সমাবেশী সৌহার্দ্যের হয় হবে!’ এদিন ‘মেলা হবে’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছেন তিনি। যা অনেকটা ‘খেলা হবে’র আদলে তৈরি স্লোগান। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং ওই হ্যাশট্যাগ।
বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক সমীকরণ ক্রমশ বদলাচ্ছে। যোগী শিবিরে ভাঙন দেখা যাচ্ছে। সর্বপ্রথম মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন স্বামী প্রসাদ মৌর্য। দলিত এবং অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য যোগী সরকার কিছুই করছে না, এহেন কারণ দর্শিয়ে দল ছেড়েছিলেন তিনি। মৌর্য ইস্তফা দেওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বান্দার তিন্দওয়ারি বিধানসভার বিধায়ক বৃজেশ কুমার প্রজাপতি এবং বিলাহুরের বিধায়ক ভাগবতী সাগর পদ্ম শিবিরের সদস্যপদ ছাড়েন।
এরপর বিধুনার বিধায়ক বিনয় শাক্যও দলত্যাগ করেন। ‘তিনি প্রকাশ্যেই বলেন, স্বামী প্রসাদ মৌর্যের সঙ্গে সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিতে চাই।’ তিলহার শাহজানপুরের বিধায়ক রোশন লাল ভার্মাও একাধিক নেতাদের নিয়ে দলত্যাগ করেন। তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছর ধরে BJP -তে আছি। এখন দমবন্ধ লাগছে।’ বৃহস্পতিবার মন্ত্রী দারা সিং চৌহানও দল ছাড়ার কথা বলেন। মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফাও দেন। তাঁর সঙ্গেও অখিলেশ যাদবের যোগাযোগ হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ২০১৫ সালে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি থেকে পদত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ২০০৯ থেকে ২০১৪ অবধি BSP বিধায়ক ছিলেন চৌহান।
এদিকে ১৭২ টি আসনে প্রার্থী কারা হবেন ঠিক করে ফেলেছে BJP। জানা গিয়েছে, অযোধ্যা থেকে যোগী আদিত্যনাথকে দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ‘ভারতীয় রাজনীতির চাণক্য’ অমিত শাহ সহ BJP -র শীর্ষ নেতৃত্ব। অখিলেশের দল সবদিক থেকে শক্তিশালী হচ্ছে তা বলাবাহুল্য। অন্যদিকে, ৪০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী নিয়ে দুই দলকে জোর টক্কর দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তবে মায়াবতী এবারও ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।