ধর্নায় একা! আন্দোলনের অপর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তুন গতি নিউজ ডেস্কঃ গান্ধী মূর্তির পাদদেশ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের সূচনা যেনো সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেয়ো রোডের গান্ধী মূর্তি পাদদেশে থাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহু আন্দোলন শুরু করেছেন তার সাক্ষী থেকেছেন রাজ্যবাসী। এই গান্ধী মূর্তি থেকে তিনি সব আন্দোলনকে সুর চড়ান। ২০০৭ সালে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম আন্দোলনে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে এই গান্ধী মূর্তির পাদদেশে আন্দোলন শুরু করেন। শুধু তাই নয় সিঙ্গুর আন্দোলন ,কেন্দ্রীয় কৃষি বিল আন্দোলন, সি এ এ আন্দোলন থেকে শুরু করে সব আন্দোলনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু করেন। অতি সাম্প্রতিক নন্দীগ্রামে মমতা আহত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে এই গান্ধী মূর্তির পাদদেশে থেকেই হুইল চেয়ারে করে মিছিল করেন। অর্থাৎ মেয় রোডের গান্ধী মূর্তির পাদদেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের পীঠস্থান। নির্বাচন কমিশন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ২৪ ঘন্টার জন্য নির্বাচনী প্রচার থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর তিনি আবার সেই গান্ধী মূর্তির পাদদেশকে বেছে নিয়ে ধরনায় বসেছেন। তবে তাঁর মতে এটি ধর্ণা নয় , এটি একটি সত্যাগ্রহ আন্দোলন। প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২৪ ঘন্টার জন্য নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। তার প্রতিবাদে তিনি গতকাল টুইট করে জানিয়েছিলেন, নির্বাচন কমিশনের এমন অগণতান্ত্রিক অসাংবিধানিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুর বারোটায় গান্ধী মূর্তি পাদদেশে ধরনায় বসছি। মমতাকে নির্বাচনী প্রচার থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কারণ হিসেবে কমিশনের বক্তব্য, নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী অর্থাৎ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্ররোচনা এবং উস্কানি দেওয়ার মতন ভাষণ দিয়েছেন। এতে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। প্রভাব পড়তে পারে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায়। সেই কারণে তাঁকে( মমতা) সতর্ক করার পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়াই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।কমিশনের এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসামাত্রই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি যশবন্ত সিনহা, ফিরহাদ হাকিম,ডেরেক ও’ব্রায়েন ঘটনার প্রতিবাদে টুইট করেছেন এবং একে ‘গণতন্ত্রের কালো দিন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

    তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়ো রোডের গান্ধী মূর্তির নিচে একাই ধর্ণায় বসে আছেন। না আছে কোন পতাকা, না আছে ফেষ্টুন, না আছে নেতা-নেত্রী মন্ত্রী। তিনি একাই হুইল চেয়ারে বসে আছেন । তিনি গান্ধী গিরি আন্দোলন করছেন। প্রচারে না থেকেও সমস্ত প্রচারের আলো একাই তিনি শুষে নিলেন।

    আজও তিনি প্রমাণ করলেন তাকে দমাতে পারা অত সহজ ব্যাপার নয়। বুঝিয়ে দিলেন প্রতিবাদে তিনি অনন্যই। প্রতিবাদে তিনি একা, অনন্য অবিচল। আজও তার অন্যথা হলো না। ধর্না মঞ্চে বসে তিনি ছবি আঁকছেন তিনি বোঝাতে চাইলেন তিনি তার লক্ষ্যে অবিচল এবং কোন নিষেধাজ্ঞা তাকে তাঁর অভীষ্ট লক্ষ্য থেকে দমাতে পারবে না।

    তবে বাইরে হাজার হাজার তৃণমূল সমর্থক পতাকা ফেস্টুন নিয়ে হাজির । নিষেধাজ্ঞা উঠলেই রাত সাড়ে আটটায় বারাসাতে তৃণমূল প্রার্থী চিরঞ্জিত এর সমর্থনে এবং সেখান থেকে উল্টোডাঙ্গা সুজিত বসু সমর্থনে নির্বাচনী সভা।