|
---|
বাইজিদ মণ্ডল ডায়মন্ড হারবার:শহীদ আবু সিদ্দিক হালদারের খুনের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে ঢোলা হাট নুন তলায় প্রতিবাদ সভা থেকে এমনটা চাঁচা ছোলায় বক্তব্য রাখেন আই এস এফ চেয়ারম্যান বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি আরো বলেন এই ঘটনায় শুধুমাত্র ঢোলাহাট থানার পুলিশই নয়,শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্বও জড়িত। এমনটাই অভিযোগ করেছেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের চেয়ারম্যান তথা রাজ্য বিধানসভার সদস্য নওসাদ সিদ্দিকী। আজ দক্ষিণ ২৪ পরগণার মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লকের নুনতলা মোড়ে ঐ খুনের প্রতিবাদে এক বিশাল সমাবেশ থেকে তিনি বলেন, আইনের মাধ্যমে যেমন এই ইনসাফের লড়াই চলবে, পাশাপাশি রাস্তায় নেমেও এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুংকার দেন তিনি।বিধানসভার মধ্যেও এই বিষয়টি তোলা হবে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, গত দেড় মাস ধরে এই রাজ্যে একাধিক গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশি হেফাজতে বিনা দোষে আবু সিদ্দিকও খুন হলেন, অথচ মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চুপ। দেখা যাবে এই প্রতিটি ঘটনায় মুসলমান, আদিবাসী, দলিত সম্প্রদায়ের মানুষেরা মারা গেছেন। একটা ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করে শাসকদল প্রতিবাদী কন্ঠকে স্তব্ধ করতে চাইছেন। যেভাবে গণপিটুনি বাড়ছে তাতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি শাসিত গুজরাট, আসাম, উত্তর প্রদেশের থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও পিছিয়ে নেই। এই প্রসঙ্গে আইএসএফ চেয়ারম্যান বলেন, আনিস খান হত্যা থেকে শুরু করে গতবছর বারুইপুর পুলিশ জেলার হেফাজতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে, কোনটিতেই এখনও পর্যন্ত ইনসাফ পাওয়া যায়নি। আবু সিদ্দিকের হত্যার ক্ষেত্রে এটা সহ্য করা যাবে না।সজাগ,সতর্ক থেকে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে আন্দোলনের ঢেউ তোলার আহ্বান জানান তিনি।সভায় আইএসএফের রাজ্য সম্পাদক বলেন, খুন করে আইএসএফ কে শেষ করা যাবে না,আবু সিদ্দিক আমাদের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। তাঁকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে থানায় নিয়ে গিয়ে নৃশংস অত্যাচার করে খুন করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি থেকে প্রচুর টাকা ও গয়নাও নিয়েছে পুলিশ,সেগুলি যেন অবিলম্বে তারা ফেরত দেয়। এই বিশাল প্রতিবাদ সভাটি পরিচালনা করেন আইএসএফ দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সভাপতি আবদুল মালেক মোল্লা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য কমিটির কোষাধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন সিরাজী সহ জেলা ও বিধান সভা,অঞ্চল কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।এই প্রতিবাদ সভায় এলাকার জন সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো।