স্বাধীনতার প্রাক্কালে আদৌ কি যথেষ্ট সম্মান পেয়েছেন আত্মত্যাগী বিপ্লবীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:- আর মাত্র কয়েকদিন পরই পালিত হবে দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান । সেজে উঠবে দেশের নানা প্রান্ত । রাজ্যেও সাড়ম্বরে পালিত হবে, স্বাধীনতার এই উৎসব । তবে স্বাধীনতার প্রাক্কালে আদৌ কি যথেষ্ট সম্মান পেয়েছেন আত্মত্যাগী বিপ্লবীরা ? সেই প্রশ্নই তুলে দিচ্ছে আরও এক বার ।স্বাধীনতার ইতিহাসের সাক্ষী নিয়ে অনাদরে, অবহেলায় আজও পড়ে রয়েছে রাজারহাটের পল্লী নিকেতন। স্বাধীনতার সাত দশক পরেও বিপ্লবের কর্মভূমি ডুবে অন্ধকারে। অভিযোগ, নিয়মিত নজরদারি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জঙ্গল আগাছায় ভরে গিয়েছে সাড়ে ন’বিঘা জমি । তারই মাঝে ঝোপে ঝাড়ে নেশার আসর বসাচ্ছে স্থানীয় যুবকরা । কেবল সপ্তাহে একদিন দাতব্য চিকি‌ৎসালয়, আর ডিসেম্বর জানুয়ারিতে পিকনিক পার্টির জন্য সরগরম হলেও বাকি সময় যেন শ্মশানের নিস্তব্ধতা এখানে । বিভিন্ন জায়গায় সংস্কারের আর্জি জানালেও, এবারও আশাহত হয়েছেন প্রাক্তন ওয়ার্ডেন জয়দেব মণ্ডল, কেয়ারটেকার তপন বৈদ্য-সহ প্রমুখেরা।সহকর্মী কুমুদচন্দ্র সরকার, রসময় সুর, মেজর সত্য গুহদের সহযোগিতায় রাজারহাটের বাগুর এলাকার তৎকালীন অজ পাড়াগাঁয়ে স্বপ্নের পল্লী নিকেতন গড়ে তুলেছিলেন বিল্পবী নিকুঞ্জ সেন। রাজারহাট অঞ্চলের বাগু, শিখরপুর, ঝালিগাছি, নয়াবাদ, আড়বেলিয়া-সহ সাতটি গ্রামের সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা রক্ষা করতে এক মহান কর্মযঞ্জে সামিল হয়েছিলেন প্রবাদপ্রতিম সেই মানুষগুলি। তাদের আঁকড়ে ধরেই সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষার প্রসার, আত্মমর্যাদায় বলীয়ান হয়েছেন এই অঞ্চলের বাসিন্দারা।কিন্তু কালের নিয়মে একে একে নিভেছে দেউটি। বিনয়-বাদল-দীনেশের শিক্ষাগুরুর স্মৃতি বিজড়িত পল্লী নিকেতন আজ আগাছায় ভরেছে। রক্ষনাবেক্ষণের অভাবে কৌলীন্য হারিয়ে পোড়ো বাড়িতে পরিণত হয়েছে স্বাধীনতার এই স্মৃতি।