লিটন আমাদের ঘরের ছেলে ও আমাদের গর্ব

মোঃ রিপন – পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগ নিয়েছে “দিদিকে বলো”। যার ফলে উপকৃত হবে বাংলার মানুষ। অনেক সময় নানা রকম অভিযোগ আসে পঞ্চায়েত, পৌরসভা স্তর থেকে সেই অভিযোগ এবার সরাসরি পৌঁছে যাবে মমতা ব্যানার্জির কাছে।মমতার কথায়, মানুষ নিজের কথা বলতে পারবে। সমস্যার কথা জানাতে পারবে। অভাব-অভিযোগ করতে পারবে। আর আমি চেষ্টা করব, তাদের সমস্যা মেটাতে। হয়তো সব সমাধান করতে পারব না, তবে যতটা সম্ভব করব। দলনেত্রীর সেই কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে  মাঠে নেমে পড়েছেন মুরার‌ইয়ের তৃণমূল কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মীরা।মুরারই বিধানসভার বিধায়ক আব্দুর রহমান গ্রামে গ্রামে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন সাধারণ মানুষের।বুধবার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কামালপুর গ্রামে দিদিকে বলো কর্মসূচি পালিত হয়। সেই কর্মসূচিতে তৃণমূল কংগ্রেসের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক আব্দুর রহমান, ব্লক সভাপতি আফতাবউদ্দিন মল্লিক, যুব সভাপতি সিটুনাথ মন্ডল , ব্লক সাধারণ সম্পাদক মহাম্মদ শহীদুল্লাহ এছাড়াও প্রথম সারির আরো অনেক নেতৃত্ব। কামালপুর গ্রামের মানুষের কাছে নরকযন্ত্রণা হয়ে উঠেছিল রাস্তার মধ্যে  ট্রান্সফর্মা । আব্দুর রহমান সেই স্থান পর্যবেক্ষণ করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন এবং খুব দ্রুত সেই স্থান থেকে ট্রান্সফর্মার স্থান পরিবর্তন করা হবে বলে তিনি জানান। এদিকে ৭৮এর ঘরে রাখা আফরেশুন বেওয়া  নামে এক মহিলা বিধায়ক আব্দুর রহমানের সাথে কথা বলে প্রাণভরে আশীর্বাদ দেন সাথে বলেন আমি ওকে লিটন নামেই চিনি,  আমার সন্তানসম লিটনের কাছে অনুরোধ তিনি যেন দিদিকে বলে বাধ্যক্য ভাতা একটু বাড়িয়ে দেয়।দিদিকে বলো কর্মসূচিতে মানুষের অভাব অভিযোগের পাশাপাশি কর্মীদের সাথে কখনো কখনো চায়ের আড্ডায় বসে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠছেন আবার কখনো দেখা যাচ্ছে সারা রাত জেগে বসে গল্প করছেন সকলের সাথে বিধায়ক। বিধায়ক আব্দুর রহমান  জানান আমি গ্রামের ছেলে গ্রামে বড় হয়েছি আর মুরার‌ই বিধানসভার মানুষ আমাকে তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন।আমি সারা জীবন মানুষের পাশে এভাবেই থেকে যেতে চায় তাদের ভাই হিসাবে সন্তান হিসাবে।