জে সি বি দিয়ে খুঁড়ে দেওয়া হল ফুরফুরা শরীফের রাস্তা, SDO এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে

আরিফুল ইসলাম, হুগলী: এই মুহূর্তে রণক্ষেত্র ফুরফুরা শরীফ। অভিযোগ, ফুরফুরা পঞ্চায়েতর প্রধান দুর্নীতি গ্রস্থ। ফুরফুরা গ্রাম পঞ্চায়েত এর প্রধান শামিম আহমেদ বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতিসহ একাধিক অভিযোগ। সোমবার বিকেল থেকে শুরু হয় বিশাল বিক্ষোভ। সন্ধ্যায় পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। রাস্তার কাজের দূর্নীতির সাথে খোদ পঞ্চায়েত প্রধান যুক্ত আছে বলে তাদের অভিযোগ। সেকারণেই শ্রীরামপুর-জাঙ্গীপাড়া ৩১ নং রাস্তা কেটে দেয় ফুরফুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষজন।

    স্থানীয়দের আরো অভিযোগ, রাজ্য সরকার এর পক্ষ থেকে ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদ কমিটি গঠন করা হয়, সেই কমিটিতে উনিশ জন সদস্য নিয়ে, কিন্তু জেলা প্রশাসন সেটি ৪৮ জন সদস্য এর কমিটি করে। এখানেই আপত্তি ফুরফুরা শরীফের মানুষদের। তারা বলছেন তাদের দরবার একটা।

    জেলা প্রশাসন মূলত স্থানীয় BDO র দিকে অভিযোগের তীর তাদের। কারণ উনিশ জনের যারা সদস্য ছিলেন তারা ফুরফুরার, এবং তারাই এই কমিটিতে থাকবেন। এখানে জেলা প্রশাসনের দেওয়া তালিকায় সদস্যদের তারা মানবেন না। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও বিক্ষোভ চলছে। ডি এম এবং বিডিও এসে সমস্যা সমাধান না করলে আন্দোলন চালিয়ে যাবে তারা।

    অন্যদিকে, রাস্তা কেটে দেওয়ার ফলে চরম বিক্ষোভের মুখে পরে সাধারণ মানুষ। প্রায় দুই ফুট গভীর গর্ত খুঁড়ে দেওয়া হয়। সাইকেল বা মোটরসাইকেল কিছুই পারাপার হতে পারছে না।

    খবর পেয়ে ছুটে আসেন জাঙ্গীপাড়া থানার ওসি সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরে হুগলী জেলা পুলিশের উচ্চ পদাধিকারী উপস্থিত হয়। তাতেও কোনো সুরাহা হয়নি। বিক্ষোভকারীরা দের দাবি, ফুরফুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে বরখাস্ত করা ও ফুরফুরা শরীফের সুন্দর রাস্তা তৈরি সহ দূর্নীতি মুক্ত ফুরফুরা শরীফ গড়তে গ্রামবাসীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে খবর।

    সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দেয় ফুরফুরা শরীফের পঞ্চায়েত প্রধান সামিম আহমেদ, তিনি বলেন আমরা বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সঠিক প্রমান দিক।
    প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর আজ বিকেলে SDO, BDO, OC সহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাথে বৈঠক করে পঞ্চায়েত ও ৩১ নং রাস্তা খুলে দেওয়া হয়। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।