|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা: গোরুপাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) গ্রেফতারের পর এই মুহূর্তে আসানসোল সংশোধনাগারে (Asansol Special Correctional Home) রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তাঁকে আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ২১ সেপ্টেম্বর তাঁকে ফের আদালতে পেশ করা হবে। আর ঠিক সেই সময় বীরভূম সফরে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেখানে বেশ কিছুদিন ছিলেন তিনি। এমনকী, তারাপীঠ মন্দিরে (Tarapith Temple) পুজো দেওয়া থেকে শুরু করে চা-চক্র সবেতেই যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি কর্মীদের সঙ্গেও সময় কাটান তিনি। এরপর শুক্রবার নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বীরভূম (Birbhum) সফরের সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন এই বিজেপি নেতা।
কেষ্ট-হীন বীরভূমে যাওয়ার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “আমি দু’দিন বীরভূম ছিলাম। গিয়ে প্রথমবার মানুষকে হাসতে দেখলাম। খোলা মনে ঘর থেকে বেরোতে দেখলাম। খুশি দেখলাম। আনন্দে দেখলাম। আমি গতবারে গিয়েছিলাম চায়ের দোকানে চা খেতে পারিনি। চা-চক্র যে চায়ের দোকানে করব সেই দোকান হুমকি দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিল। চাওয়ালা পালিয়ে গিয়েছিল। এখন লোকে হেসে ডেকে চা খাওয়াচ্ছে। পরিবর্তন হয়েছে।” এদিকে পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধী শূন্য করার ডাক দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, “তার আগে যদি ওরাই শূন্য হয়ে যায়, কী হবে ভাবুন তো! যেভাবে সাংসদ, বিধায়করা পালাচ্ছে, ঘরবাড়ি ছেড়ে, কে বিরোধি শূন্য করবে? আগে দল সামলান। তারপর বিরোধী নিয়ে ভাববেন।”
এদিকে ফের অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়েছনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নেতাজি ইন্ডোরে দলীয় কর্মসূচিতে তিনি বলেছিলেন, “অনুব্রত মণ্ডলকে বীরের সম্মান দিয়ে বের করে আনা হবে।” এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, “বিহারের লোকেরাও ভেবেছিল লালুকে বীরের মর্যাদা দেবে। কিন্তু, জেল থেকে বেরোলে তো দেবে। আমাকে একজন গল্প করেছিল, তার দাদু খুব সাহসী ছিল। সব জায়গায় ঢুকে যেত। একদিন বাঘের খাঁচায় ঢুকেছিল। তারপর আর বেরোয়নি। কেষ্টরও এরকম গতি হবে না তো?”অবশ্য দলনেত্রীর কাছ থেকে ওই বার্তা পাওয়ার পরই রীতিমতো ‘খোশমেজাজে’ দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে। শুক্রবার সকালে মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় হাজিরার জন্য অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে আসা হয় বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আলাদতে। শুক্রবার সাতসকালে সংশোধনাগার থেকে বেরোনোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “জেল কেউ সারাজীবন থাকে না। জেল থেকে ছাড়া পায়। দিদি পাশে রয়েছেন। এটাই এনাফ।”