ডিম না দেওয়ায় অঙ্গনওয়ারী কর্মীদের সেন্টারে আটকে তালা লাগালেন গ্রামবাসীরা।

আজিজুর রহমান,গলসি : ডিম না দেওয়ায় অঙ্গনওয়ারী সেন্টারের কর্মী ও সহায়িকাকে আটকে রেখে তালা লাগালেন গ্রামের মহিলাদের এক অংশ। তাদের দাবী, দীর্ঘদিন ধরে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন খাবার দিতে বললে কোন কর্নপাত করতেন গলসির বেলগ্রাম দাসপাড়া সেন্টারের কর্মী ও সহয়িকা। সরকারী হিসাবে পাওয়া ডিম না দিয়ে বাচ্চাদের খাবার খেতে দেন ওই দুইকর্মী। কয়েকদিন ধরে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা ডিম নিয়ে প্রতিবাদ করলে তারা কোন কথা শুনতেন না। খাবারে ডিম দেওয়ায় এদিন সকালে কয়েকজন প্রতিবাদ করলে বেফাঁস মন্তব্য করেন এক কর্মী। এর পরই তাদের সাথে বচশা শুরু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে পুড়ুয়াদের মহিলা অভিভাবকরা এসে সেন্টারের আটকে তালা লাগিয়ে রাখেন কর্মী ও সহায়িকাকে। খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  গ্রামবাসী, অপর্না দাস, রিয়া দাস, পিঙ্কি দাস, সুপর্না দাসরা বলেন, তাদের ছেলে মেয়ে নিয়ে মোট সেন্টারে সত্তর জন পড়ুয়া এখানে পড়াশোনা করে। তাদের ঠিকম‌তো পড়াশোনা করান না সেন্টারের কর্মী। তারা নানা অজুহাত দিয়ে প্রতি সপ্তাহে একদুই দিন করে কামাই করেন। সেই দিনের ডিম ও খাবার পরদিন না দিয়ে তারা সরিয়ে রাখেন। তাছাড়া মুরগির বিষ্টা লাগা ডিম প্রতিদিন না ধুয়ে সেদ্ধ করতেন। এবং তাদের রান্নার গুনগত মান খুব খারাপ। চালে গুমো গুমো গন্ধ বলে দাবী করেন অভিভাবকরা। তারা জানাই এক বাটির বেশি খাবার চাইলে দিদিমনিরা দিতে অস্মিকার করেন। তাছাড়াও স্কুলের রান্নাঘর থেকে টয়লেট সব কিছু অপরিস্কার। স্কুলে ভিতরে জন্মেছে বড় বড় ঘাস। সেই সব পরিস্কার করার কোন উদ্দ্যোগ নেন না দিদিমনিরা। এবিষয়ে ওই স্কুলের শিক্ষাকর্মী কবিতা মাকরকে ফোন করা হলে তিনি ফোন না ধরায় তার কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। গলসি ২ ব্লক বিডিও সঞ্জীব সেন বলেন, ডিম নিয়ে একটা গন্ডগোলের খবর পেয়েছি। ব্লকের সিডিপিও ম্যাডাম বর্তমানে ছুটিতে আছেন। তিনিই এই বিষয়গুলি দেখেন। সিডিপিও ম্যাডামকে তিনি বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তাছাড়াও এলাকার সকল অঙ্গনওয়ারী সেন্টারের বাচ্চাদের যেন ভালো মানের খাবার দেওয়া হয় সেই বিষয়টিও  তিনি নজর রাখতে বলেছেন।