ঈদে পরবী বিতরন দাতা লালন

নিজস্ব সংবাদদাতা: সবার দুঃখে কাঁদব আমি হাঁসব সবার সুখে, আমার মুখের খাবার বিলিয়ে দেব অনাহারীর মুখে। পল্লী কবি জসিমুদ্দীনের কবিতার এই কথাই এখন দাতা লালনের মনের কথা। আসন্ন ঈদ উল আজহ্বার কথা মাথায় রেখে আউসগ্রাম এলাকার গরিব দুঃস্থ মানুষের মুখে পরবী তুলে দিলেন তিনি। সামনে রবিবার ঈদ উল আজহ্বা। তার আগে এলাকার গরিব দুঃস্থ মানুষের বাড়ী বাড়ী লাচ্ছা, সামুই, চিনি, বাদাম, কিসমিস বিতরন করেন। তার জন্য কাউকে তার বাড়ীতে আসতে হয় নি। তিনি নিজে তা বাড়ী বাড়ী পৌঁছে দিলেন।

    পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের দাতা সেখ লালন একজন ব্যাবসায়ী। এবং জীবনভর তিনি নিজের জীবনকে সেবামূলক কাজে উৎসর্গ করে থাকেন। প্রতিবছরই ঈদের সময় গরিব দুঃস্থ মানুষের মুখে হাঁসি ফোঁটাতে এই ভাবে ঈদের আগে পরবী বিতরন করে থাকেন। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয় নি। তিনি বলেন, আমি খুবই সাধারন গরিব পরিবারের ছেলে। নিজের জীবনে উপলব্ধী করেছি গরিবের কত কষ্ট। আজ পাঁচ জনের দোয়া আর্শীবার্দে ব্যাবসা করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি। ব্যাবসার লাভের টাকা নিজেই ভোগ করি না। তার একটা অংশ গরিব দুঃস্থ মানুষের উপহার দিয়ে খুশি করে আমিও আনন্দ পাই। শুধু ঈদের সময়েই নয়। মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশে থাকার পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই বোনদেরও বিতরন করেন পুজোর মরসুমে। জামা কাপড় সহ নানান সামগ্রী। আউসগ্রামের যুবক সুজিত পাল বলেন, দাতা লালন সাহেব সব সময় গরিবের পাশে থাকেন। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয় নি। তিনি ঈদের আগে এবার এলাকার গরিব মানুষকে পরবী বিতরন করলেন। এটা আমাদেরও ভালো লাগছে।