বিদ্যাসাগরের ২০২তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক, নতুন গতি, মেদিনীপুর: ঋষি অরবিন্দ শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের উদ্যোগে এবং কুলটিকরি শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের সহযোগিতায় 26 শে সেপ্টেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিবস পালিত হল মহা সাড়ম্বরে। দুই মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক, অধ্যাপিকাবৃন্দ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবন, দর্শন ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে উনার অবদানকে স্মরণ করেন। বিদ্যাসাগর দেশে শিক্ষার প্রসার চেয়েছিলেন। বাংলার সমাজের শিক্ষা ব্যবস্থাকে তিনি এমনভাবে সাজাতে চেয়েছিলেন যেন বাংলার প্রতিটি মানুষ শিক্ষিত হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। তিনি জানতেন, সমাজে আদর্শ শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হলে নারী-পুরুষ উভয়েরই শিক্ষিত হওয়া প্রয়োজন। তিনি হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় তৈরি করেন, যাকে পরবর্তীতে বেথুন কলেজ নামকরণ করা হয়।দেশের প্রতি ওনার অগণিত কাজ ও শিক্ষার প্রসারে ওনার অবদান অনস্বীকার্য।

    বিশ্ব বরেণ্য মেদিনীপুরের এই মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপনে দুই মহাবিদ্যালয়ের উদ্যোগে আজ ঋষি অরবিন্দ শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী আদিবাসী অধ্যুষিত পাঁচখুরি এলাকার প্রায় 50 জন কচিকাঁচা কে শিশুপাঠ্য বর্ণপরিচয়, স্লেট, পেন্সিল ,চকলেট দেওয়া হয় সঙ্গে তাদের মহাবিদ্যালয়গুলির অধ্যাপক অধ্যাপিকাবৃন্দ হাতে কলমে বর্ণ সম্পর্কে পরিচয় ঘটান এবং চার থেকে ছয় বছরের কচিকাঁচাদের সারা বছরব্যাপী প্রতি সপ্তাহে দুই দিন করে তাদেরকে পড়ানো এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলার মাধ্যমে তাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার নেয়। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে মহাবিদ্যালয় গুলি আগেই পার্শ্ববর্তী এলাকার 6 থেকে 10 বছরের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং খেলাধুলার প্রশিক্ষণ শুরু করেছে ।