হরিশ্চন্দ্রপুরে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ তৃনমূল কংগ্রেসের

মহম্মদ নাজিম আক্তার, নতুন গতি, হরিশ্চন্দ্রপুর: তৃনমূল সুপ্রিম মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে সারা রাজ্যের সাথে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরেও মঙ্গলবার দুপুর একটা নাগাদ পালিত হল শহীদ দিবস। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে করোনা সচেতনতায় তৃনমূল কর্মীরা শুরু করেন মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ। এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ও ২ নং ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে ভবানীপুর,রাড়িয়াল, তুলসীহাটা, সালালপুর,ছত্রক, সুলতান নগর ও কুশিদা সহ প্রভৃতি এলাকায় শহীদ দিবস পালিত হয়।

    উল্লেখ্য,সালটা ছিল ১৯৯৩। দিনটি ছিল ২১ জুলাই। ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছিল তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস। তখনও তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হয়নি। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সেই সময়ের যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন মহাকরণ অভিযান কর্মসূচীতে সামিল ছিলেন বর্তমান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও। সেই দিনে ওই কর্মসূচীতে পুলিসের গুলিতে শহিদ হয়েছিলেন ১৩ জন কংগ্রেস কর্মী। এরপর থেকেই প্রতিদিন ১৩ জন শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জনসভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও ভোট লুঠের প্রতিবাদে এই সভা হওয়ার কথা ছিল ১৪ জুলাই। কিন্তু সেবছর ১২ জুলাই প্রাক্তন রাজ্যপাল নুরুল হাসানের মৃত্যুর জন্য কর্মসূচী নেওয়া হয় ২১ জুলাই। সেই থেকে এই দিনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই সভা আয়োজিত হয়ে আসছে। দুই দশকেরও বেশি সময়, ২৭ বছর ধরে ২১ শে জুলাই শহিদ দিবস পালন করা হয়।

    হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর জিপির প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য সামসুল হক ও ভবানীপুর পূর্ব তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি আনোয়ার কবির জানান, এদিন নিজ বুথে সামাজিক দূরত্ব ও মুখে মাস্ক লাগিয়ে শহীদ দিবস পালন করা হয়। ২০২১ এর বিধান সভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তৃনমূল কর্মীদের একনিষ্ঠ ভাবে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।