ইয়াস কবলিত এলাকায় যৌথ উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ

নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুর: যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি।ইয়াস প্রভাবিত পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমণির নিকটবর্তী পুরুষোত্তমপুর গ্রামে হুগলির শ্রীরামপুরের পিয়ালী পাঠক প্রডাকশন,হাওড়ার “পরশ” সংস্থা ও মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি।

    ইয়াস ঝড়ের পর থেকেই ইয়াস কবলিত এলাকায় ধারাবাহিক ভাবে কখনো একক উদ্যোগে, কখনো যৌথভাবে কখনো বন্ধূদের সহযোগিতায় ত্রাণ বিতরণ করে চলেছে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার অন্যতম অগ্রণী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’। ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরের ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কোভিড প্রভাবিত বিভিন্ন এলাকায় এবং ইয়াস ও জলোচ্ছ্বাস কবলিত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ সামগ্রী বিলি করা হয়েছে। পাশাপাশি সুন্দরবনেরও তিনটি এলাকার মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্রের পক্ষে ত্রাণ বিলি করা হয়েছে। রবিবার হুগলীর শ্রীরামপুরের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার পিয়ালী পাঠকের “পিয়ালী পাঠক প্রোডাকশন হাউস, হাওড়ার ‘পরশ” সংস্থা এবং মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্রের সদস্য-সদস্যারা পৌঁছে গিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের মান্দারমনির কাছে সমুদ্রতীরবর্তী দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর গ্রামে। গ্রামটি মূল রাস্তা থেকে অনেকটাই ভেতরে তাই এখানে ত্রাণ এখনও সেভাবে পৌঁছয়নি তিনটি সংস্থার উদ্যোগে এখানকার প্রায় ১২০টি পরিবারের হাতে নতুন জামাকাপড়,নিত্য প্রয়োজনীয় রেশন সামগ্রী, সাবান,ন্যাপকিন ইত্যাদি তুলে দেওয়া হয়।পাশাপাশি ৩০ টি শিশুর হাতে খাতা, পেন্সিল রাবার,রং সহ নতুন জামা প্যান্ট তুলে দেওয়া হয়।পাশাপাশি কুইজ কেন্দ্রের সবুজায়ন কর্মসূচীর অঙ্গ হিসেবে ১০টি পেয়ারা গাছের চারা লাগানো হয় গ্রামের মন্দির সংলগ্ন এলাকায়।এদিনের কর্মসূচিতে হুগলী ও হাওড়ার সংগঠন দুটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পিয়ালী পাঠক, দেবাশিস সরকার, কল্লোল মুখার্জী, প্রলয় হাজরা প্রমুখ।কুইজ কেন্দ্রের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মৌসম মজুমদার, কৃষ্ণপ্রসাদ ঘড়া,ভাস্করব্রত পতি, মৌমিতা মিশ্র,সপ্তর্ষি চক্রবর্তী, অপূর্ব কুমার জানা, সৌমেন গায়েন,দিব্যেন্দু রায় প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের শুভাকাঙ্ক্ষী দিলীপ ভৌমিকসহ অন্যান্যরা।