|
---|
নতুন গতি ডেস্ক : মানবতার প্রধান শিক্ষা এটাই যে দানের মাধ্যমে মানুষ কখনোই ফকির হয়ে যায় না। সুখে দুঃখে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মহৎ কাজ। জীবনের মূল অর্থই হলো নিজের হৃদয়কে উদার করে দিয়ে মানবতার সেবা করা। আর এই শীতের মরশুমে ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের প্রকোপ, এগিয়ে আসছে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। এসবের মাঝেই হয়তো অনেক পরিবারের দুঃখে কষ্টে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। তাঁদের গায়ে দেওয়ার মতো একটি কম্বল বা চাদর নেই। অসহায় মানুষদের কষ্টের যেন শেষ নেই। এই শীতের ঠান্ডায় কেমনই বা কাটবে দিন রাত।
এসব চিন্তা ভাবনা মাথায় রেখে বরাবরই দুস্থ অসহায় মানুষদের পাশে থাকার উদ্যোগ নিয়ে আসছে ‘ছাত্র সমাজ।’ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেই চেইন সিস্টেমে গড়ে উঠেছে এই ‘ছাত্র সমাজ।’ এতে রয়েছে স্কুল পড়ুয়া থেকে কলেজ পড়ুয়ারা। তাঁরা লেখা পড়ার পাশাপাশি ভাগ করে নিতে চাইছেন অসহায় মানুষদের দুঃখ কষ্ট এবং দারিদ্রতা। লকডাউন এর এবারের পর্বেও তাঁরা বেশ কিছু দিন আগে উদ্যোগ নিয়েছিলো। মাঝে মাঝেই দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো। রাস্তায় জীবনযাপন করা ভবঘুরেদের মাঝে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ। এর আগেও যেমন ঘরবাড়ি নদীতে তলিয়ে যাওয়া অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলো তাঁরা। এবার শীতের মরশুম পর্বেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
স্বেচ্ছাসেবীর এক সদস্য সমীর রহমান বলেন “আজ আমরা কালিয়াচক টাউন লাইব্রেরি হলে প্রায় ২০০ টির বেশি অসহায় মানুষের হাতে কম্বল তুলে দিলাম। প্রত্যেকেই আমরা এক একটি কম্বল দিলাম। আমরা পেরেছি এই কাজটি সফল করতে। আমরা সর্বদা এরকম ভাবেই মানুষের পাশে থাকবো এই অঙ্গীকার করে এগিয়ে চলেছি। সুখে দুঃখে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের মূল উদ্যেশ্য। আমরা সর্বদা মানুষের সেবায় নিয়োজিত।”
তিনি আরো বলেন “আমরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেই মানুষের কাছে সাহায্য চাই। আর বরাবরই তাঁদের পাশে পাই। তাঁরা না থাকলে বা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিলে হয়তো এই কাজ আমরা সম্পূর্ন করতে পারতাম না।” তিনি সেই সকল মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন।