|
---|
বাংলার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো হেরিটেজ স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে প্রতীকী দুর্গা প্রতিমা নিয়ে কলকাতা সহ জেলায় জেলায় শোভাযাত্রার আয়োজন করার ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই মত এদিন কলকাতার মত বর্ধমান শহরেও হল শোভাযাত্রা। বড়নীলপুর মোড় থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। আর এই শোভাযাত্রা শেষ হয় বর্ধমান টাউনহলে। শোভাযাত্রায় ছৌ নৃত্য শিল্পীরা ছাড়াও মহিলা ঢাকির দল অংশ নেয় ।এছাড়াও রণপা শিল্পী দল ও আদিবাসী মহিলাদের নাচ শোভাযাত্রায় ভিন্ন মাত্রা এনে দিয়েছে। বর্ধমান শহরের দুর্গাপুজো কমিটি গুলির সদস্যরা সুসজ্জিত ট্যাবলো নিয়ে শোভাযাত্রায় হাঁটে। ব্যবহার করা হয়েছে রঙ্গিন ছাতাও। পাশাপাশি শহরের বেশ কয়েকটি স্কুলের পড়ুয়ারাও শোভাযাত্রায় সামিল হয় । রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বিধায়ক খোকন দাস, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু, বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার , জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা শোভাযাত্রায় পা মেলান।বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহযোগে বর্ধমানের টাউনহল এলাকায় শেষ হয় শোভাযাত্রা । এদিন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘বাংলা ও বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দর্গোৎসব। ইউনেস্কো সেই দুর্গোৎসবকে ‘আবহমান ঐতিহ্যের’ স্বীকৃতি দিয়েছে । তা নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মেনে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে এদিন বর্ধমানেও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হল । শোভাযাত্রায় শহরের ছোট বড় দুর্গাপুজো কমিটি ও ক্লাবের সদস্যরাও অংশ নিয়েছে ।