জেলা তৃনমূলের সংখ্যালঘু সেলের সহ-সভাপতির নতুন নাম সংযোজন হলো রাজেশ সরকারের

পল মৈত্র, নতুন গতি, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরের মিশন মোড়ে গেলে দেখা যাবে নিজের সুসজ্জিত অফিসে বসে রয়েছেন রাজেশ সরকার্। জেলার নবীন সংখ্যালঘু সেল এর সহ-সভাপতি রাজেশ সরকার তথাকথিত ভাবে বিগত কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার উন্নয়নের রূপকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র হাত ধরে রাজনীতির ময়দানে নামেন।

    রাজেশ সরকারের আদি বাড়ি গঙ্গারামপুর প্রাণ সাগর এলাকায়। প্রসঙ্গত তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সেই সুবাদে বিপ্লব মিত্রের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা ও তার সান্নিধ্যে থেকে বিপ্লব বাবুর অনুপ্রেরণায় সে পদ পেয়েছে বলে মনে করেন এবং তিনি এই কর্মকান্ডের আসল হিরো তথা জেলার উন্নয়নের রুপকার ও কান্ডারী বিপ্লব মিত্র কে পুরো ক্রেডিট দেন।

    বিপ্লব বাবুকে রাজেশ সরকার সম্মান করে জেঠু বলে ডাকেন। চলতি মাসের ৪ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার জেলা সভাপতি নিজের বাসভবনে রাজেশ সরকারকে ডেকে পাঠান এবং তাকে প্রায় অবাক করে দিয়ে তার হাতে তৃণমূল ভবন থেকে আসা জেলা সংখ্যালঘু সেল এর সহ-সভাপতির পদ এর অ্যাপয়েন্টমেন্ট তুলে দেন।

    এদিন জেলা সভাপতি ছাড়াও জেলা তৃনমূলের সম্পাদক তথা গঙ্গারামপুর পুরসভার পৌরপিতা প্রশান্ত মিত্র ও উপস্থিত ছিলেন। খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুশির আবহ সৃষ্টি হয়েছে জেলা সহ গঙ্গারামপুরের যুবক ও তরুন মহলে। গতানুগতিকভাবে জেলা তৃনমূলের সভাপতি বিপ্লব মিত্র কে তার অভিভাবক মেনে আদর্শ ও অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে মানুষের জন্য কাজ করেছেন এবং আগামীতেও করে যাবেন এবং জেলা সভাপতি যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটা তিনি মেনে নেবেন বলে জানান।

    এছাড়াও তিনি জেলা এবং গঙ্গারামপুর শহরের যুবসমাজকে তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়নের ধারায় ভাসিয়ে তাদেরকে মা-মাটি-মানুষ সরকার এর অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নের হাতকে শক্ত করতে তিনি সদা ব্যস্ত ও প্রস্তুত। আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই পদ তার সফলতার শীর্ষে পৌছানোর একটি মহা মূল মন্ত্র যা তিনি তা কবজ করে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। রাজেশ সরকার জানিয়েছেন, জেলা তৃণমূল সভাপতির নির্দেশ মেনে সংখ্যালঘু মানুষদের জন্য সব সময় কাজ করে যাবেন।

    অন্যদিকে জেলা তৃণমূল সভাপতি বিপ্লব মিত্র জানান, লোকসভা ভোটের আগে জেলায় সংখ্যালঘুদের সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন ছিল। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ পদে আনকোরা মুখ হিসেবে কর্মঠ ও একনিষ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেসের তরুন কর্মী রাজেশ সরকার কে এই পদ দেওয়া হয়েছে এবং সে জেলায় সংখ্যালঘু মানুষদের জন্য ভালো কাজ করবে বলে আশা রাখছি।

    গত বিধানসভা ভোট ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের হয়ে প্রচার করে একটি পরিচিত মুখ হয়ে দাঁড়ান রাজেশ সরকার। তাই সে বিষয়টিকে মাথায় রেখে নির্বাচনের প্রাক্কালে সংখ্যালঘু ভোটগুলিকে একজোট করতে তাকে এই দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবেন জেলা সভাপতি। প্রসঙ্গত জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার সংখ্যালঘু সেলের নবীন ও তরুন নেতা বলে পরিচিতি পাচ্ছেন রাজেশ সরকার তা বলাই বাহুল্য আর এই কাজের ক্রেডিট তিনি বার বার বিপ্লব মিত্রের বলে পাওনা বলে জানান কারন তিনি যেমন উন্নয়নের রুপকার আবার তার পাশাপাশি তিনি সকলের অাদর্শ ও অভিভাবক ও বটে।

    বুধবার গঙ্গারামপুর মিশন মোড়ে তার অফিসে রাজেশ সরকারের আদি বাড়ি প্রাণ সাগর এলাকার প্রায় ৫০ জন এর অধিক তরুণ-যুবকরা ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে রাজেশ সরকারকে অভ্যর্থনা জানান পাশাপাশি তারা রাজেশ বাবুর সাথে সর্বদা পাশে আছেন বলে জানান। জেলা তৃনমূলের সংখ্যালঘু সেলের সহ-সভাপতি রাজেশ সরকারের নাম সংযোজন হওয়ায় খুশীর আবহ তৈরি হয়েছে জেলা যুব মহলে।