আসন্ন উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে গোরক্ষপুর থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী Dr kafeel khan

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক:  গত পাঁচ বছরে ভারতের রাজনীতিতে চরম সাম্প্রদায়িকতার নিদর্শন নতুন নয়, এই সাম্প্রদায়িকতার আগুনে ঝলসে গেছে কত সাংবাদিক সমাজকর্মী লেখক থেকে শুরু করে বহু মানুষ। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ডাক্তার কাফিল খান। আজ থেকে চার বছর আগে গোরক্ষপুরে একটি হাসপাতালে  অক্অসিজেন এর অভাবে কয়েকশো শিশু মারা যায়,আর সেই হাসপাতালের শিশু বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক ছিলেন ডাক্তার কাফিল খান। শুধুমাত্র মুসলিম হবার কারণে তাকে দীর্ঘ সময় জেলে বন্দি করে রাখে। পরে কানপুর আদালত তাকে নিঃশর্তে জামিন দেয় শিশু মৃত্যুর ঘটনায় কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায়।

    তার সরকারী সহকারী ডাক্তারি লাইসেন্স বাতিল করা থেকে শুরু করে তাকে নানান রকম ভাবে রাষ্ট্রীয় নির্যাতন সহ্য করতে হয়। এরপর তিনি ক্রমশ সক্রিয় হয়ে ওঠেন এবং তার বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়ের তিনি প্রকাশ্যে জনসভায় মানুষকে জানাতে থাকেন পাশাপাশি সমসাময়িক এনআরসিসি নাগরিকত্ব বিল এগুলি নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচী জনসভায় অংশগ্রহণ করতে থাকেন।

    তাকে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংগঠন নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখার জন্য ডাকে এই বক্তব্যকে উপলক্ষ করে তাকে রাষ্ট্রবিরোধী তার আইনে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার ডাক্তারী লাইসেন্স বাতিল করে দেয়া হয় এবং তার উপরে চলতে থাকে উত্তর প্রদেশ সরকারের নির্যাতন। পরে হায়দ্রাবাদ কোর্ট আবার তাকে নিঃশর্ত জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য সরকার কিন্তু খারিজ হয়ে যায় তাকে সেখানেওসুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য সরকার কিন্তু খারিজ হয়ে যায় তাকে সেখানেও নিঃশর্তে জামিন দেয়া হয়।

    গতকালকের খবর অনুযায়ী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস তাকে আসন্ন উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের গোরক্ষপুর বিধানসভা সিট থেকে টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে ভিশন তাৎপর্যপূর্ণ সেই সঙ্গে ডাক্তার কাফিল খান এর সরাসরি সক্রিয় রাজনীতিতে আসা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন ভারতীয় রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা,কিছুদিন আগে কানাইয়া কুমার কংগ্রেস দলে যুক্ত হওয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিলেন। ডঃ কফিল খানের কংগ্রেসের যুক্ত হওয়া ভারতীয় রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে অভিমত সকলের।