চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন শীতল সব পানীয় জলের পরিবর্তে ডাবের জল খেতে তবে তার মূল্য আকাশ ছোঁয়া

নিজস্ব সংবাদদাতা : গ্রীষ্মকালে সূর্যের প্রখর তাপদাহ থেকে বাঁচতে একাধিক শীতল পানীয় বিক্রি হচ্ছে ফুটপাত বা রাস্তার পাশে। হিমশীতল লস্যি বা বাজারচলতি রঙিন সফট ড্রিংকস কিনে খাওয়ার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে৷ তবে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন এই সব পানীয় জলের পরিবর্তে ডাবের জল খেতে৷

    গ্রীষ্মকালে ডাবের জল খাওয়ার উপকারিতা অনেকেই জানেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও খেতে পারেন না। তার কারণ হল এর দাম। যেখানে একটি সফট ড্রিংকস বা এক গ্লাস ঠান্ডা লস্যির দাম ২০ টাকার বেশি হয় না, সেখানে একটি ডাবের দাম বর্তমানে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। যা সাধারণ মধ্যবিত্তের কাছে অনেকটাই বেশি।

    ডাবের কেন এত দাম? খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেল, ডাবের এই মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ হল ডাবের চাহিদার থেকে যোগান কম থাকা। শহর অঞ্চলের বাইরে একাধিক গ্রাম বা মফস্বল জায়গায় অনেক গৃহস্থ বাড়িতে থাকতো একাধিক নারকেল গাছ। যেখান থেকে ডাব বিক্রেতারা পাইকারি হারে গাছ থেকে ডাব পেড়ে নিয়ে এসে বাজারের দোকানে বিক্রি করত৷ তবে এখন অধিকাংশ বাড়িতেই নারকেল গাছ কম থাকায় ডাবের জোগানও কমে গেছে। এছাড়াও পরিবেশ সংক্রান্ত একাধিক কারণে অনেক জায়গায় দেখা যায় ‘ডাব’ গাছেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।ডক্টর অতনু মন্ডল এই বিষয় জানালেন, “বর্তমানে যে সমস্ত সফট ড্রিংকস বাজারে রয়েছে তার থেকে ডাবের জলের উপকারিতা অনেক বেশি। ডাবের জলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন সি, যা আমাদের শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও রয়েছে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম। এছাড়াও লিভারের জন্য ডাবের জল উপকারী।” তাই এই গরমকালে যতটা সম্ভব সফট ড্রিংকস এড়িয়ে ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।