দোলনচাঁপা নজরুল ফাউন্ডেশনের নিবেদন জাতির জীবনে বসন্ত এনেছে নজরুল।

লুতুব আলি, বর্ধমান, ১৪ মার্চ : কাজী নজরুল ইসলামের খুব অল্প বয়সেই তাঁর সৃজনশীল লেখার গগন চুম্বী হওয়ায় স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর বসন্ত নাটিকা উৎসর্গ করেছিলেন। কাজী নজরুল ইসলামকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন : জাতির জীবনে বসন্ত এনেছে নজরুল। দোলনচাঁপা নজরুল ফাউন্ডেশন কবিতীর্থ চুরুলিয়া ১৩ই মার্চ কলকাতায় নিবেদন করল : জাতির জীবনে বসন্ত এনেছে নজরুল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই উক্তি দিয়েই কাজী নজরুল ইসলামের উত্তরসুরিরা এদিন কলকাতার নলিনী সভা ঘরে এক প্রাণবন্ত বসন্ত উৎসব পালন করলেন। দোলনচাঁপা নজরুল ফাউন্ডেশন এর কর্ণধার তথা বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী সোনালী কাজী এদিনের অনুষ্ঠানে সকলকে স্বাগত জানান ও স্বাগত ভাষণ দেন। শুধু স্বাগত ভাষণই নয় তাঁর সুরেলা কন্ঠে উদাত্ত ভাবে নজরুলের কবিতা ও নজরুল সংগীত পরিবেশন করে প্রশংসিত হন। কবির ভ্রাতুষ্পুত্র বর্ষীয়ান কাজী রেজাউল করিম অজানা অচেনা নজরুলের দর্শনকে সকলের সামনে উপস্থাপনা করেন। উল্লেখ্য, নজরুলের ধুমকেতু পত্রিকার শতবর্ষ উপলক্ষে দোলনচাঁপা নজরুল ফাউন্ডেশন নব ধূমকেতু নামে এদিন প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক নজরুল গবেষক রাজীব রাজিবুল হাসান নজরুলের লেখা অভিভাষণ না দেখে পড়ে শোনান। এই লেখাটি আবৃত্তির ঢঙ্গে পড়ার জন্য সকলের নজর কাড়েন। বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পী ও আইনজীবী শিমুল পারভীন নজরুলের একটি চিঠি পড়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দেন। অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাহিত্যিক পৃথ্বীরাজ সেন, বিশিষ্ট দুই আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় ও শীর্ষেন্দু সিংহ রায়, দোলনচাঁপা সভানেত্রী প্রণতি বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশিষ্ট আবৃত্তিকার সেলিম দুরানি বিশ্বাস, ডা: পার্থ সারথি মুখার্জি, বিশিষ্ট কবি রজত মোহন রায় প্রমুখরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের সকলকে স্বাগত জানান ডা: কোহিনুর কাজী, কল্লোল কাজী, রুপা দত্ত। অনুষ্ঠানের সংগীত পরিবেশন করেন বর্ধমানের বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী রুবি আজিম। অনুষ্ঠানে গানে কবিতায় একটি মনোজ্ঞ আলেখ্য পরিবেশিত হয়। পরিচালনা করেন আকাশবাণীও দূরদর্শনের শিল্পী প্রণব গুহ। অংশগ্রহণে ছিলেন জ্যোতি কণা মিত্র, সঙ্গীতা চৌধুরী, গানে পৌলমী গুহ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সংগীত, একক নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি সহ নজরুল যে সাম্যবাদের কবি, সকলের কবি, জীবনমুখী কবি সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা আলোকপাত করেন।