|
---|
লুতুব আলি, নতুন গতি : বরেন্য দুই কবিকে নিয়ে অনুষ্ঠানের নামকরণ ছিল রবীন্দ্র নজরুল প্রণাম। অনুষ্ঠানটি হলো উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার সংলগ্ন সিরাম অডিটরিয়ামে। এটি একটি ব্যতিক্রম অনুষ্ঠান বলা যায়। স্বাভাবিকভাবে যে সমস্ত উদ্যোক্তারা অনুষ্ঠান করান তাদের লক্ষ্য থাকে অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিল্পীদের দিয়ে অনুষ্ঠান করানো। অদ্রিতনয় ম এর কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে গ্রামের অখ্যাত শিল্পীরা অনুষ্ঠান করার সুযোগ পেলেন। অদ্রিতনয়ম এর পুরোধা, মিতা মিত্রর কথায় ; যে সমস্ত ছেলেমেয়েরা দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে এবং সাংস্কৃতিক মনন ও শিল্পী হওয়ার প্রতিভা আছে তাদের অন্বেষণ করে কোচিং দিয়ে তৈরি করে মঞ্চে হাজির করানোই এই সংস্থার মুখ্য উদ্দেশ্য। পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের গোপালনগরের এই ধরনের পাঁচজন ছেলেমেয়েকে সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় এনে অনুষ্ঠান করানো হলো। এই অনুষ্ঠানে এছাড়াও হুগলির নালিকুল বন্দিপুর থেকে কুশাং কুর সাংস্কৃতিক সংস্থা অনুষ্ঠান করল। এই সংস্থার কর্ণধার চিত্রকর মৃণাল কান্তি দাস ও সহযোগী শিল্পীরা মিতা মিত্র, দীপিকা মজুমদার, আলপনা মজুমদার, মায়া দাস, পুষ্পিতা চ্যাটার্জি, মৌসুমী মজুমদার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। সন্তোষপুর এর মাদার্স টেলেন্ট গ্রুপের যে সমস্ত শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন তারা হলেন, কবি অসীম মুখার্জি, অজয় ভট্টাচার্য, মহুয়া চক্রবর্তী, জৈতিক ঘোষ, আদ্রিত মজুমদার, তিতলি চ্যাটার্জী, সম্পৃক্তা সিনহা, রিনা রায়। হালিশহরের ধরিত্রী র অনুষ্ঠান ও ও ছিল বেশ ভালো। আদ্রিতনয় মের শিল্পীদের অনুষ্ঠান দর্শক শ্রোতাদের মন ভরিয়ে দেয়। অনুষ্ঠানের উপরি পাওনা ছিল দুই প্রবাদপ্রতিম বর্ষীয়ান শিল্পী র অনুষ্ঠান। শিল্পীরা হলেন অধ্যাপক প্রভাস রায় ও অধ্যাপক তুষার কান্তি মজুমদার। প্রভাস বাবু একটি রবীন্দ্র সংগীত গাইলেন এবং তুষার বাবু সেই গানের উপর একটি রাগ গেয়ে শোনান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক বরুণ চক্রবর্তী, স্কাউট মাস্টার ও সাংবাদিক দেবাশীষ ব্যানার্জি প্রমুখ।