|
---|
আর এ মণ্ডল : বাঁকুড়া জেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘কোতুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়’- এর প্রধান শিক্ষক ডঃ প্রসেনজিৎ সরকার মহাশয়,শিক্ষা ও সাহিত্য জগতের এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব রূপে সমাদৃত ১৪ নভেম্বর ২০২৪ -এ সেই সুপরিচিত মানুষটিকে “টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ এণ্ড টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভারসিটি” থেকে “দ্রোণাচার্য পুরস্কার” প্রদান করে সম্মাননা ও অভিনন্দন জানানো হয়। উল্লেখ্য বিশ্ব বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এক মনোরম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে-। এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে জানা যায় যে,স্বনামধন্য ব্যক্তিটির আদ্যোপান্থ বিচার বিশ্লেষণ করেই এই সিদ্ধান্ত। আরও জানা গেলো যে, সর্বাপেক্ষা যে বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তা হলো শিক্ষা জগতের একজন অভূতপূর্ব দক্ষ পরিচালক তথা প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্তব্য ও দায়িত্ব পালনে নিষ্ঠাপরায়ণতা।
ইতিপূর্বে ডঃ প্রসেনজিৎ সরকার ইন্দাস ব্লকের ‘মঙ্গলপুর উচ্চ বিদ্যালয়’- এর ভূগোলের শিক্ষক পদে আসীন ছিলেন,অতঃপর “ছোট গোবিন্দপুর এস এন পাঁজা হাই স্কুল”-এর প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর রচিত ৭৯ টি গ্রন্থের মধ্যে সম্পাদিত গ্রন্থ ১৫ টি। উল্লেখযোগ্য,- বাঁকুড়া : সভ্যতা – সংস্কৃতির রূপরেখা, বাঁকুড়ার সার্বিক সমীক্ষা, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন: পটভূমি বাঁকুড়া, প্রভু যিশু ও বড়দিনের উৎসব, মল্লভূম: সেকাল-একাল, সাঁওতাল বিদ্রোহ, টুরিজিম ইন বাঁকুড়া ডিস্ট্রিক্ট, টুরিস্ট স্পট ইন ঝাড়খন্ড ইত্যাদি।
সমাজ কল্যাণ মূলক কাজেও তাঁর এর অবদান উল্লেখযোগ্য- বেঙ্গল যোগা ফেস্টিভ্যালের কোচ-২০১৯, ম্যনেজার- ৬৮ তম জিমন্যাস্টিক চ্যাম্পিয়নশিপ, ইয়ুথ পার্লামেন্ট কম্পিটিশন (আয়োজক প.ব. সরকার), বিষ্ণুপুর জাতীয় মেলা-২০১৭-তে- নাটকে অংশগ্রহণ, টেলিভিশন ও গুগল্ মিট্- এ পঠনপাঠন ছাড়াও বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজেও এলাকার মানুষের কাছে প্রিয়জন ।সরকার কর্তৃক স্বীকৃত পুরস্কার প্রাপ্তিগুলিরও আছে দীর্ঘ তালিকা- পি.এইচ. ডি-২০১৫, ওয়ার্ল্ড জিনিয়াস রেকর্ডস নাইজেরিয়া- ২০২১, ওয়ার্ল্ড এডুকেশন কনক্লেভ-২০২১, স্টেট অ্যাওয়ার্ড ন্যাশনাল ভোটার ডে, নোডাল টিচার, ই. এল. সি, কমেনডেবল সার্ভিস ইন এডুকেশন- ডি. এম. বাঁকুড়া, পেনডামিক কালে অনলাইন ক্লাসের জন্য এস. পি. বাঁকুড়া হতে পুরস্কার প্রাপ্তি এবং ২০২২ সালে শিক্ষারত্ন পুরস্কার, ২০২২ সালে থিওফ্যানি বিশ্ববিদ্যালয় হাইতি থেকে ডিলিট উপাধি এবং ২০২৩ সালে “বঙ্গ গৌরব”- সম্মান লাভ। আর ২০২৪ সালে ১৪ ই নভেম্বর টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে প্রাপ্তি “দ্রোণাচার্য অ্যাওয়ার্ড।”শুধুমাত্র এলাকাবাসীরাই নয়,বাঁকুড়া জেলা তথা বাংলার মানুষও যৎপরনাই গর্বিত ও খুশি।