|
---|
বাইজিদ মণ্ডল, ডায়মন্ড হারবার:- ডাঃ মোঃ আকবর হোসেন ডায়মন্ড হারবার মহকুমা তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভূমিপুত্র। তিনি স্বাস্থ্যপরিষেবা তথা সমাজসেবার সুবাদে একটা বিশেষ পরিচিত নাম। কখনও তিনি জনদরদী সমাজকর্মী আবার কখনওবা শিশুসাথী প্রকল্পের সঠিক পরামর্শ দাতা হিসাবে মুসলিমা তানবীর। সুদীপা, স্বপ্ননীল, উৎসব, আসিফ, সুরজ দের বাড়ির লোক হয়ে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে জন্মগত হৃদরোগের অপারেশন এর ব্যবস্থা করে দেওয়া, দিন রাত তাদের পরিবারের পাশে থাকা তার নেশা। ডাঃ আকবর হোসেন মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিটি মুহূর্তে অসহায় মানুষের সেবা করে চলেছেন নিরলস ভাবে। কখনো হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়া, কখনো বা রক্তদান শিবির আয়োজন বা মুমুর্ষ রোগীর রক্তের ব্যবস্থা করে দেওয়া কখনো দরিদ্র রুগীর পথ্য ও ওষুধের সুব্যবস্থা করে দেওয়া। কখনো অসহায় মানুষের অশ্রু মোছাতে তাদেরকে খাদ্যদ্রব্যের ব্যবস্থা করে দেওয়া,বস্ত্র বা শীত বস্ত্র বিতরণ করা প্রভৃতি।
2020 সালের জুলাই মাস থেকে 2022 এর ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার মহকুমার কোভিড আক্রান্ত মানুষের সেবা ও কোভিড থেকে বাঁচানোর জন্যই ১০০ বেড এর কোভিড সেফ হোমের ইনচার্জ এর মতন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তিন তিনবার পালন করেন। নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে কয়েকহাজার কোভিড আক্রান্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে নিজেও কোভিড আক্রান্ত হয়ে আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন। মৃত্যু কে খুব কাছ থেকে দেখেছেন সেই সাথে প্রতিবেশিদের কাছে অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়েছে তার পরিবার কিন্তু প্রতিবাদ করেননি। নীরবে অন্তরালে অশ্রু ঝরিয়েছেন তিনি, পরিবারের সঙ্গে সহযোগিতাও করেছেন। কিন্তু সুস্থ হওয়ার পর পুনরায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বারণ সত্বেও সেফ হোমের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা তথা ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্যজেলার সারাবাংলার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবেই ২০০০ এর ও বেশী মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন। সারাদেশে প্রশংসনীয় ডায়মন্ড হারবার মডেল এর অক্সিজেন অন হুইলস ডক্টরস অন হুইলস, ভ্যাকসিনেশন অন হুইলস, কোভিড টেস্ট অন হুইলস, ইত্যাদি জনমুখী পরিষেবার যথাযথ সেনাপতি হিসাবে জীবনকে বাজি রেখে দায়িত্ব এর সাথে কাজ করে পেয়েছেন বাংলা র মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের *কোভিড যোদ্ধা মেডেল ও সার্টিফিকেট* জি ২৪ ঘন্টা চ্যানেল এর বিশেষ কোভিড যোদ্ধা সম্মান সেই সাথে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলো ট্রাস্ট এর আন্তর্জাতিক বাংলা গৌরব বাংলা রত্ন সহ আরও প্রায় ৪০ টির ও বেশী সংগঠন এর সম্মাননা। ২০২৩ সালের শুরুতেই ডাঃ মোঃ আকবর হোসেন এর মুকুটে আরও একটা নতুন সম্মান সংযোজিত হলো নিরলসভাবেই নীরবে কোভিড রোগীদের জীবন বাঁচিয়ে দেখা গেলো ২০০০ এর বেশি কোভিড আক্রান্ত মানুষ এর সরাসরি সেবা করেছেন যেটা কিনা *ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস *সেই সাথে ইউনাইটেড স্টেট্ স্বীকৃত ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ইউনিভার্সিটি কর্তৃক সাম্মানিক *ডক্টরেট উপাধির প্রস্তাব পেয়েছেন* ভারত সরকার স্বীকৃত বিশেষ সংস্থার বিচারে ও সঠিক তথ্যএর ভিত্তিতে সারাভারত বর্ষের মধ্যেই এটি একটি ইতিহাস বা রেকর্ড প্রচারবিমুখ আল আমীন মিশন এর প্রাক্তন ছাত্র ও পঞ্চগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালের স্কুল হেলথ এর মেডিকেল অফিসার ডাঃ আকবর হোসেন জানান সংকটকালীন পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্যই নিজের জীবন কে বাজি রেখে দুবার নিজের কোভিড হওয়া সত্ত্বেও মানবিকদৃষ্টি নিয়ে আন্তরিক ভাবেই কাজ করেছি।সেটা যদি কোনো রেকর্ড হয় অবশ্যই তা গৌরব এর বিষয়,এবং এটা একটা টিমএর সাফল্য বলে আমি মনে করি। স্বাস্থ্য প্রশাসন, মহকুমা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন, সহকর্মী সকলের সহযোগিতা ছাড়া আমার রেকর্ড সম্ভব হত না। তবে কোনো রেকর্ড বা স্বীকৃতি র জন্যই কোনকাজ করিনি, সেই ২০০৪ সাল থেকে মানবিক ও সামাজিক কাজের সাথে যুক্ত,বর্তমানে রক্তদান উৎসব,থালাসেমিয়া সচেতনতা, বাল্য বিবাহ বন্ধ ইত্যাদি সামাজিক বিষয়ও জনস্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। সমাজকল্যাণমূলক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নবদিশার প্রতিষ্ঠাতা ও রাজ্য সম্পাদক ডাঃ আকবর হোসেন তিনি আরও জানান কোভিড কালে জীবনের সংকটকালীন সময়ে তিনি পাশে পেয়েছিলেন ডাঃ দেবাশিস রায়,অজয় সেনগুপ্ত,ডাঃ মানস পন্ডা, রাতুল ঘোষ,মিলন তীর্থ সামন্ত এর মতন কিছু মানবিক আধিকারিক কে। যেকোনো স্বীকৃতি মানুষকে আরও সামাজিক কাজের প্রেরণা দেয় আগামীদিনে মানুষের কল্যাণে যেকোনো রকম দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত ডাঃ আকবর হোসেন। তিনি মনে করেন মানুষ মানুষের জন্য – জীবন জীবনের জন্য। এভাবেই ডাঃ আকবর হোসেন মানবসেবায়, সমাজকল্যাণ এ কাজ করে এগিয়ে চলুন, জয়ী হোক মানবতা।