আর্থিক অনটন স্বপ্নপূরণে বাধা দশম স্থানাধিকারীর

আর্থিক অনটন স্বপ্নপূরণে বাধা দশম স্থানাধিকারীর

    মোঃ আবু সাঈদ, ভাবতা, মুর্শিদাবাদ: দারিদ্র্যতাকে হার মানিয়ে এবছর হাইমাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষায় চমকপ্রদ ফলাফল করল মোসাঃ নাফিসা খাতুন। বেলডাঙা থানার ভাবতা গ্রামের নাফিসা এবছর ভাবতা আজিজিয়া হাইমাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা দিয়ে রাজ্যে দশম স্থান অধিকার করেছে। তার প্রাপ্ত মোট নাম্বার ৭৪৬ অর্থাৎ ৯৩.২৫%. তাঁর এই সাফল্যে অভিভাবক, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তথা গ্রামবাসী সকলেই খুব খুশি। নাফিসা বাংলাতে পেয়েছে ৯৪, ইংরেজিতে ৮২, গণিতে ৯১, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৪, জীবন বিজ্ঞানে ৯৪, ইতিহাসে ৯৬, ভূগোলে ৯৫ এবং ইসলাম পরিচয়ে ১০০ তে ১০০। কিন্তু, এই চমকপ্রদ রেজাল্টেও খুশির মধ্যে একটা চিন্তার কালো মেঘ নাফিসার সামনে দেখা দিয়েছে। সেটা হল আগামী দিনে তার পড়াশোনা চালানোর বড় অঙ্কের ব্যয়ভার। নাফিসার বাবা মোহাম্মদ মোকাম্মেল একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। আর মা নারজিয়া বিবি একজন নিতান্তই গৃহবধূ। নাফিসার বাবা জানালেন, তার পাঁচ ছেলে মেয়ে। সবাই পড়াশোনাতে ভালো। বড় মেয়ে আরিফা এখন আলিয়া ইউনিভার্সিটিতে এম.এ করছে। এক ছেলে বি.এ. পড়ছে। অন্যান্য ছেলেমেয়েরাও সবাই পড়াশোনার মধ্যে আছে। ফলে এই ‘দিন – আনি, দিন – খাই’ সংসারে ছেলেমেয়েদের পড়ানো খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

    উল্লেখ্য যে নাফিসারা ভাবতা গ্রামের প্রয়াত বিশিষ্ট মৌলানা আবু তাহের সাহেবের পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এই পরিবারের সবাই বরাবর পড়াশোনাতে ভালো। নাফিসার চাচার মেয়ে তাসনিয়া খাতুন গত বছর হাইমাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষায় সপ্তম স্থান অধিকার করেছিল। নাফিসা জানাল, সে উচ্চ-মাধ্যমিকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায়। কিন্তু আর্থিক প্রতিবন্ধকতা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই এ বিষয়ে সকলকে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ অনুরোধ জানিয়েছে। এলাকার সকলেও চাই মেয়েটি তার স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাক।