|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : মত্ত অবস্থায় স্ত্রীকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দিয়ে ফেরার স্বামী। গুরুতর জখম হয়ে স্ত্রী ভর্তি হাসপাতালে। শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে পাণ্ডুয়ার দ্বারবাসিনী এলাকায়। অভিযুক্তের নাম মহম্মদ হাশেম।
হাশেমের সঙ্গে মেহেরুন্নিসা বিবির বিয়ে হয়েছিল প্রায় ৩০ বছর আগে। তাঁদের দুই পুত্র সন্তান আছে। তাঁরাও বিবাহিত। কর্মসূত্রে দুই ছেলেই বাইরে থাকেন। অভিযোগ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে স্ত্রী এবং দুই বৌমার সঙ্গে মাঝেমাঝেই অশান্তি করেন হাশেম। আরও অভিযোগ, আগেও বহু বার তিনি স্ত্রীকে মারধর করেছেন। কয়েক বছর আগে এ নিয়ে পাণ্ডুয়া থানায় অভিযোগও জানানো হয়। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তখন পুলিশের ধমকে স্ত্রীর সঙ্গে সাময়িক ভাবে ভাল ব্যবহার করতে শুরু করেন হাশেম। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে আবার সেই একই কাণ্ড ঘটছে বলে অভিযোগ।শনিবার রাতে স্ত্রীর সঙ্গে হাশেমের অশান্তি চরমে ওঠে। অভিযোগ, হাশেম স্ত্রীকে বাড়ির ছাদে নিয়ে গিয়ে নীচে ঠেলে ফেলে দেন। এর পর তাঁদের দুই বৌমা বাড়ির পিছনের জঙ্গল থেকে শাশুড়িকে উদ্ধার করেন। শেষ পর্যন্ত প্রতিবেশীদের সাহায্যে মেহেরুন্নিসাকে প্রাথমিক ভাবে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়। তাঁর কোমরে, পায়ে এবং হাতে গুরুতর চোট লেগেছে। তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মেহেরুন্নিসার বড় বৌমা সাবানা খাতুন বলেন, ‘‘রাতে মত্ত অবস্থায় শ্বশুর বাড়িতে অশান্তি শুরু করেন। শাশুড়িকে মারধর করতে থাকেন। আমরা অন্য ঘরে থাকি। শনিবার শব্দ শুনে গিয়ে দেখি শ্বশুর শাশুড়িকে মারধর করছে। আমরা বারণ করি। কিন্তু আমাদেরও মারধর করতে এসেছিলেন উনি। তাই ভয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। উনি ইট ছুড়ছিলেন। তার পর শ্বাশুড়িকে টানতে টানতে ছাদে নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে ঠেলে ফেলে দিয়েছেন।’’