দুয়ারে সরকারে শিশুদের বেস্ট ফিডিং রুমের ব্যবস্থা করলেন বিডিও

আজিজুর রহমান, গলসি : ষষ্ঠ পর্যায়ে দুয়ারে সরকার শিবিরে অভিনব উদ্দ্যোগ নিলেন গলসি ২ ব্লক বিডিও সঞ্জীব সেন। দুয়ারে সরকারে আগত মায়েদের নিজের শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পান করানোর জন্য পৃথক একটি ঘরের ব্যবস্থা করেন তিনি। আর তার এই কাজের প্রশংসা করেছেন অনেকেই। স্থানীয় বাসিন্দা সুভেন চৌধুরী বলেন, সব জায়গায় দুয়ারে সরকার চললেও গলসির বিডিও উদ্দ্যোগ তাদের চাইতে বেশ ভালো। এখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েরা তাদের হাতের কাজের জিনিস বিক্রি করছেন। তাছাড়াও সরকারী সব সুবিধার জন্য সহায়তা কেন্দ্র থেকে শুরু করে সবকিছু করা হয়েছে। তবে মায়েদের মাতৃদুগ্ধ পান করানোর জন্য পৃথক ব্যবস্থাটা খুবই ভাল কাজ। তিনি বলেন, লোকজনের মাঝে কোলের বাচ্চাকে দুগ্ধ পান করাতে সবসময় অস্বস্তি তে পরেন মায়েরা। বাহিরঘন্যার বাসিন্দা রিঙ্কি সেখ বলেন, আমি আমার পাড়ার এক বোনের সাথে দুয়ারে সরকারে এসেছিলাম। বোনের একটি কোলের বাচ্চা আছে। বাচ্চাকে দুগ্ধ পান করাতে তিনিই তাকে রুমটি দেখিয়ে দেন। তিনি বলেন, দুগ্ধপানের ঘরটা দেখে খুব ভালো লাগলো। রুমের ভিতরে আলো, পাখা, জল ও বসার চেয়ারের ব্যবস্থা আছে। মায়েদের জন্য বিডিও সাহেবের এই ভাবনা খুবই প্রশংসনীয়। ওই বিষয়ে বিডিও সঞ্জিব সেন বলেন, সাধারণ মানুষ পরিসেবা নিতে গরমে কষ্ট করে শিবিরে আসছেন। বহু মানুষের জল তেষ্টা লাগে। তাই তাদের কথা চিন্তা করেই ঠান্ডা জলের ব্যাবস্থা করেছেন। সাথে পরিবেশ দূষণ রোধ করতে বেশকছু ডাস্টবিনের ব্যাবস্থা করেছেন। তাছাড়া এলাকার মা তার বাচ্চার কথাটাও তারা মাথায় রেখে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর জন্য পৃথক ঘরের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি বলেন, শিশুদের দুগ্ধপান করাতেই হয়। লোকজনের সামনে দুগ্ধপান করাতে বেশিরভাগ সময় অস্বস্তিতে পরেন মায়েরা। ফলে গোপন জায়গায় গিয়ে মায়েদের বেস্ট ফিডিং করাতে হয়। দুয়ারে সরকারে তাদের সুবিধা দিতে তারা ওই আয়োজন করেছেন। এদিকে দুয়ারে সরকার শিবিরে দেখা যায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিজেদের হাতে তৈরি করা পোশাক, কালো চাল, গোবিন্দভোগ চাল সহ বেশ কিছু পসরা। এছাড়াও বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং আই সি ডি এস কেন্দ্রের পুষ্টিগত বিভিন্ন সামগ্রী পসার সাজিয়ে জনগনকে পুষ্টির বিষয়ে অবগত করা হয়।