দুবছর আগে ভেঁঙেছে বসতবাড়ি, বৃষ্টিতে নিত্য দুর্ভোগের জীবন গলসির বোরজানের

আজিজুর রহমান, গলসি :  বছর দুই আগে ভেঁঙে পরেছে মাথার উপরে থাকা চালাঘরটি। সেই কারনে বৃষ্টির এলে সবটুকু জলই ঢুকে পরে বাড়িতে। ফলে বসত ভিটের ভাঁঙা ঘর আগলে নিত্য দুর্দশার জীবন কাটাচ্ছেন গলসির বাবলা গ্রামের বোরজান। দুঃখ আর যন্ত্রনা এখন নিত্য সঙ্গী তার। প্রয়োজন মাথার উপরে একটুখানি ছাদ। যা করার সমর্থ তার নেই। জানা গেছে, বোরজানের গলসি ২ নং ব্লকের বাবলা গ্রামের বাসিন্দা। বিষয়টি নিয়ে তিনি বারবার স্থানীয় গলসি গ্রাম পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে গেলে, সেখান থেকে কোন সুরাহা পাননি। বোরজান জানিয়েছেন, তার স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন। ফলে ১৫ বছর আগে তার তিন ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে চলে যায় তার শ্বাশুড়ি। সেখানেই তাদের লালন পালন করে মানুষ করছেন তার শ্বাশুড়ি। ছেলেরা এখন বেশই বড় হয়েছে। ভীনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করে উপার্জন করে। ছেলেদের উপার্জনে পরিবারের দিন ফিরলেও তাকে কেউ দেখে না। এমনকি তিনি শিড়রাই গেলেও তাকে বের করে দেয় শ্বাশুড়ি। ফলে ভাঁঙা ঘরের অ্যাডভেস্টারের নিচে নিত্য দুর্দশার জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। আত্মীয় নুরনেশা মন্ডল বলেন, বোরজান তার দেওর হয়। সে আগে মাঠে কাজ করতে পারতো। বর্তমানে শারীরিক অসু‌বিধার কারনে আর খাটতে পারেনা। তাই সপ্তাহের কদিন রেশনের চাল রান্না করে ও বাকি দিনগুলি চেয়ে মেগে কোনরকম পার করান। তিনিও বিধবা মানুষ। তারও ঘর করে দেবার ক্ষমতা নেই। সেখ নুর ইসলাম বাপন বলেন, বর্তমান তিনি তার বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন। মাঝে মধ্যে খাবারও দেন। তাছাড়া পাড়ার লোকেরাও খাবার দিয়ে সাহায্য করে। তবে তার বাড়িতে তো সারা জীবন রাখা সম্ভব নয়। তাই সবাই এগিয়ে এসে পাশে দাঁড়িয়ে তাকে একটি চালাঘর করে দিলে খুবই ভালো হয়। “চালাঘর নির্মানে সাহায্যের আবেদন”