অতিবৃষ্টির কারণে ময়ূরাক্ষী সেচ ক্যানেলের গেট না খোলায় সেচ ক্যানেল চাপিয়ে জল ঢুকল বীরভূমের আঙারগড়িয়া গ্রামে

নিজস্ব সংবাদদাতা : অতিবৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত বীরভূমের বিভিন্ন এলাকা। বীরভূমের মহম্মদবাজারের গিরিপুরে ব্রিজের উপর দিয়ে বইছে জল। কুলে নদীর জল বইছে ব্রীজের উপর দিয়ে , ঝাড়খণ্ড ও বীরভূমে অতিবৃষ্টির জেরে পরিস্থিতি ভয়াবহ। তবে আপাতত মহম্মদবাজারের আঙারগড়িয়া থেকে পুরাতন গ্রাম পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ রেখেছে পুলিশ।
অতিবৃষ্টির কারণে ময়ূরাক্ষী সেচ ক্যানেলের গেট না খোলায় সেচ ক্যানেল চাপিয়ে জল ঢুকল বীরভূমের মহম্মদবাজারের আঙারগড়িয়া গ্রামের একটি অংশে। প্রায় ৩০ টি বাড়িতে ঢুকে যায় ময়ূরাক্ষী নদীর জল। স্থানীয় বাসিন্দা এবং মহম্মদবাজার পুলিশের সহায়তায় সেচ ক্যানেলের গেট খুলে দেওয়া হয়। এরপর জল যেতে শুরু করে সেচ ক্যানেল ধরেই। খবর দেওয়া হয় সেচ দফতরকেও। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেলা ৩ টে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল সেচ ক্যানেলে জল বাড়ছে। কিন্তু সেই সময়ে ক্যানেলের গেটম্যান ছিলেন না।স্থানীয় বাসিন্দা শিবদাস বাগদী বলনে, “রাত ৩ টের সময় হঠাৎ করে মহম্মদ বাজার ক্যানেল থেকে জল ঢুকে গেল গ্রামে। তারপরই কিছু জনের বাড়ির পাঁচিল , চাল এমনকি গোটা ঘরে ডুবেছে জলে। প্রায় ৩০ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।” আর এক বাসিন্দা মিলন বাগদী বলেন, “বেলা ৩ টে থেকেই আমরা বুঝতে পারছিলাম সেচ ক্যানেলে জল বাড়ছে, ওই সময় ক্যানেলের গেটম্যানকে জানাতে গেলে তিনি সাহাজ্য করতে অস্বীকার করেন। এরপরই পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”
এ দিকে, ময়ূরাক্ষী নদীতে জল বাড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মহম্মদবাজারের মামুদপুর থেকে বরাম যাওয়ার রাস্তা। ভেসে গিয়েছে নদীর ওপরের অস্থায়ী রাস্তা। অতিবৃষ্টির ফলে ময়ূরাক্ষী নদীতে জল বাড়ায় জলের তোড়ে ভেঙেছে বীরভূমের সাঁইথিয়া এলাকার দুটি ফেরী ঘাট। সাঁইথিয়া থেকে ময়ূরেশ্বরের তালতলা যাওয়ার ফেরিঘায়াট, অন্যদিকে ময়ূরেশ্বরের কোটাসুর এলাকার সাথে সাঁইথিয়ার বোলসন্ডা কলোনি, দুটি ফেরী ঘাট ভেঙে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন, ঘুরপথে যেতে হচ্ছে গন্তব্যে।