|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : নদিয়া জেলা মূলত কৃষি প্রধান জেলা হলেও একাধিক মানুষ এখানে রয়েছে মৎস্যজীবী। তাদের মূল পেশা মাছ ধরা এবং সেগুলি বিক্রি করা। সেই মৎস্যজীবীদের পেশা আজ চরম সংকটে এসে দাঁড়িয়েছে। বিস্তারিতভাবে বলা যেতে পারে নদিয়া জেলায় রয়েছে চূর্ণী, মাথাভাঙ্গা ও জলঙ্গি নদী। রানাঘাটের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটিকে চূর্ণী নদী বলা হয়। সেই নদীটি কৃষ্ণনগরের কাছে আসলে পরে তাকে দেওয়া হয় জলঙ্গী নদীর নাম। দীর্ঘদিন ধরে এই নদীগুলি জল দূষণের সমস্যা চলে আসছে। তার কারণ এই নদীর সংযোগস্থল বাংলাদেশ থেকে। বাংলাদেশের চিনির কলের বর্জ্য পদার্থ ও বিভিন্ন কলকারখানার দূষিত পদার্থ মিশে সেই দূষিত জল এসে পৌঁছায় চূর্ণী ও জলঙ্গি নদীতে। জলের রং রীতিমতো কালো এবং দুর্গন্ধযুক্ত। এই দূষিত জলের কারণে নদীর অসংখ্য মাছ মরে ভেসে ওঠে প্রতিবছরই।এবারেও চূর্ণী ও জলঙ্গী নদীর জলের একাধিক মাছ দূষণের কারণে ভেসে উঠেছে যার চিত্র আগেই ধরা পড়েছিল আমাদের ক্যামেরায়। নদীর জলের মাছ মরে যাওয়ার কারণে রীতিমতো রুজি রোজগারে টান পড়েছে জেলার একাধিক মৎস্যজীবীর বলে জানালেন তারা। তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার রানাঘাটে নদী বাঁচাও কমিটির পক্ষ থেকে এক বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হল।দূষিত নদীর জলের কারণে নদীর সমস্ত মাছ মরে যাওয়াতে মৎস্যজীবীরা হয়ে পড়েছেন কর্মহীন সেই প্রতিবাদে নদী বাঁচাও কমিটির এই বিক্ষোভ সমাবেশ বলে জানালেন তারা। এ বিষয়ে রানাঘাটের বিধায়ক বলেন \”এই বিষয়টি একটি আন্তর্জাতিক বিষয় কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কিছু দায়িত্ব রয়েছে। কেন্দ্র সরকারের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের উচিত উদ্যোগী হওয়া এই বিষয়টি নিয়ে, তবেই এই সমস্যার সমাধান মিলবে\”।