কুলতলি ফরেস্ট অফিসের বন কর্মীদের প্রচেষ্টায়, বাঘের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেল উপকূলবর্তী এলাকার মানুষ জন 

কুলতলি ফরেস্ট অফিসের বন কর্মীদের প্রচেষ্টায়, বাঘের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেল উপকূলবর্তী এলাকার মানুষ জন

    বাবলু হাসান লস্কর,নতুন গতি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : কুলতলী বিট অফিস এলাকাধিন জঙ্গলের ১০০ মিটার এর অধিক নেটিং ধ্বস নামায়,আর সেখান থেকে রয়েল বেঙ্গল টাইগার পালিয়ে যায় । এমনই মুহূর্তের সাক্ষী বন দফতর । বনকর্মীদের নজরে পড়ার সাথে সাথে তড়িঘড়ি শেই বাঘ জঙ্গলে ফেরানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন । উপস্থিত বুদ্ধি কে কাজে লাগিয়ে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার কে বাগে আনতে হিমসিম খেতে হল বনকর্মীদের । যারা সদা সর্বদা হিংস্র জানোয়ারের হাত থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে চলেছেন । এই মুহূর্তে তাদের কতটা বেগ পেতে হচ্ছে তা এই চিত্রে দেখা মিলছে। মাসের পর মাস বনের মধ্যে থাকার যে অনুভূতি। জলে কুমির ডাঙায় বাঘ আর প্রতিটি মুহূর্তের জন্য মৃত্যু দোরগোড়ায়, তার মধ্যেই বাঁচতেই হবে ও বাঁচাতে হবে । পরিবার কেমন আছে তা দেখার খোঁজ মেলা ভার কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন ঠিকমতো নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না এই গভীর অরণ্যের মধ্যে বাঘ মামা কতটা হিংস্র তা একবার কোন মানুষকে আক্রমণ করলে সারা জীবনের জন্য তার কর্ম ক্ষমতা কমে যাবে । আর এইভাবে সুন্দরবন লাগোয়া বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষদের বাঘের আক্রমণে প্রাণ দিতে হচ্ছে, বনকর্মীদের কাছে তথ্য অনুযায়ী সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। তার উপরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে বাঘ মামার শিকার ধরার কলাকৌশল ও শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে । বিশেষ করে মানুষের রক্তের স্বাদ পাওয়ায় তারা আরো হিংস্র হচ্ছে । লবণাক্ত জল পান করায় বন্য প্রাণীদের মধ্যে অস্থিরতার লক্ষণ দেখা মিলছে। শিকার ধরার কলাকৌশল নিপুন। বাঘের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় এবং স্বাভাবিক ছন্দে আর ফিরতে পারে না।