বিজেপির বাংলা ভাগ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবং বাংলার সমস্ত চাকরি ও কাজে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবিতে দমদমে বাংলা পক্ষর মহামিছিল

নতুন গতি প্রতিবেদক : বাঙালির শত্রু বিজেপি বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্ত করছে। বাংলা পক্ষ এর বিরুদ্ধে সারা বাংলা জুড়ে আন্দোলন গড়ে তুলছে। বিজেপির বাংলা ভাগ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবং বাংলার সমস্ত চাকরি ও কাজে কমপক্ষে ৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবিতে দমদমে বাংলা পক্ষর মিছিলে বাঙালির গর্জন শোনা গেল। শয়ে শয়ে বাঙালি এই মিছিয়ে সামিল হল। সাধারণ বাঙালির স্বতস্ফূর্ত সাড়া পাওয়া গেল এই মিছিলে। বাংলার মাটিতেই চাকরি ও কাজ থেকে বঞ্চিত বাঙালি। চাকরি, কাজ ও ব্যবসা দখল করছে বহিরাগতরা। তাই বাঙালির চাকরি ও কাজের দাবিতে গর্জে উঠলো বাংলা পক্ষ। বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায় এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন। উপস্থিত ছিলে সাংগঠনিক সম্পাদক ও শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য মনন মন্ডল ও অমিত সেন। উত্তর চব্বিশ পরগনা শহরাঞ্চল সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে এই মিছিল হয়। মিছিলে উত্তর চব্বিশ পরগনা শহরাঞ্চলের সম্পাদক পিন্টু রায়, কলকাতার জেলা সম্পাদক অরিন্দম চ্যাটার্জী, উত্তর চব্বিশ পরগনা গ্রামীনের সম্পাদক দেবাশীষ মজুমদার, হুগলীর জেলা সম্পাদক দর্পন ঘোষ, হাওড়ার জেলা সম্পাদক মিঠুন মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন, উপস্থিত ছিলেন কমপক্ষে ৫০০ জন সদস্য ও সমর্থক এবং শহরাঞ্চল সাংগঠনিক জেলার জেলা কমিটির সদস্যরা।

    সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপিকে বলতে চাই আগুন নিয়ে খেলবেন না। বাংলা পক্ষ বাংলা ভাগ হতে দেবে না। আমরা জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়িতেও আগে মহামিছিল করেছি। এছাড়া বাঙালির চাকরি চাই, কাজ চাই এবং ব্যবসা চাই। বাংলার মাটিতে বহিরাগতদের এই দাদাগিরি চলবে না। বাংলার মাটিতে চাকরি ও কাজে আমরা ভূমিপুত্র সংরক্ষণ করবোই।”

    সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, “কলকাতা, দমদম এবং বাংলার সব শহরে চাকরি, কাজ ও ব্যবসার মালিকানা বহিরাগতদের হাতে। বাংলা পক্ষ বাংলা জুড়ে বাঙালির স্বার্থে লড়াই করছে। রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের স্পষ্ট দাবি, সমস্ত রাজ্য সরকারি চাকরির পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের বাংলা পেপার বাধ্যতামূলক করুন।”

    জেলা সম্পাদক পিন্টু রায় বলেন, “বুক চিরে রক্ত দেব, কিন্তু বাংলা ভাগ হতে দেব না। উত্তর চব্বিশ শহরাঞ্চল সাংগঠনিক জেলার প্রতিটা প্রান্তের বাঙালিকে আমরা ঐক্যবদ্ধ করছি৷ লড়াই আরও তীব্রতর হবে৷ জয় বাংলা”