গত দু’বছর কোভিড মহামারীর কারণে সেভাবে পালন করা হয়নি দুর্গাপুজো তবে এ বছর বদলে গেছে সেই চিত্রটা

নিজস্ব সংবাদদাতা : সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। প্রত্যেক বাঙালি গোটা বছর অপেক্ষা করে থাকে মা দুর্গার আগমনের। গত দু’বছর কোভিড মহামারীর কারণে সেভাবে পালন করা হয়নি দুর্গাপুজো। তবে এ বছর বদলে গেছে সেই চিত্রটা। আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে এসেছে মানুষের জীবনযাপন। সেই কারণে আবারো পুনরায় মহাসমালয়ে আনন্দের সঙ্গে পালন করা হবে দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জোর কদমে। হাতে গোনা কয়েকদিন বাকি দুর্গাপুজোর, সেই কারণে চরম ব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেল মাজদিয়ার মৃৎ শিল্পীদের।শুধু মৃৎশিল্পীরাই নয় বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব পুনরায় স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে খুশি প্যান্ডেল কর্মী থেকে শুরু করে ফল ফুলের দোকান দশকর্মার দোকানের মালিকেরাও। বলা যেতে পারে পূজোর সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যাদের ব্যবসাযুক্ত প্রত্যেকেরই খুশির হাসি ফুটেছে এবারের দুর্গাপূজা উপলক্ষে। এর প্রধান কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে এবারে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করেছেন প্রত্যেকটি কমিটিকে পুজোর অনুদান ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ষাট হাজার টাকা দেওয়া হবে এবং বিদ্যুতের বিলেও ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।সেই কারণেই রাজ্যের প্রত্যেকটি পুজো কমিটি ইতিমধ্যেই মহাসমালয়ে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে দুর্গাপুজোর। গত দু’বছর করোনা ও লকডাউনের কারণে সেই অর্থে জাঁকজমকপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা করা হয়নি বলে মৃৎশিল্পীদেরও প্রতিমা বায়না কম ছিল। তবে এ বছর চিত্রটা অনেকটাই বদলেছে। তারা আশা করছেন পূর্বের মতো করোনার প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারন না করলে এবারে দুর্গাপুজো হবে স্বাভাবিকভাবেই।যথারীতি দেশ এবং বিদেশের থেকে ঠাকুরের বায়না পেতে শুরু করেছেন মৃৎশিল্পীরা। সেই কারণেই চরম ব্যস্ততার মধ্যে বর্তমানে দিন কাটছে তাদের। মাজদিয়ার একাধিক মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে এদিন জানা যায় দেশ তথা দেশের বাইরে বিদেশেও একাধিক দুর্গা প্রতিমা পাড়ি দিতে চলেছে এবারের দুর্গাপুজোয়। সব মিলিয়ে চরম ব্যস্ততার মধ্যে কাজ করছেন মাজদিয়ার মৃৎশিল্পীরা।