|
---|
লুতুব আলি, বর্ধমান, ৬ অক্টোবর : বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান পূর্ব বর্ধমানের সেরা পুজো বড়শুল জাগরণী খেতাব অর্জন করায় লাখ লাখ মানুষের ঢল নেমেছিল বড়শুলে। বড়শুলে দূর্গা পূজার দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে পানীয় জল, প্রাথমিক চিকিৎসার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিল জামাতে ইসলামী হিন্দ পশ্চিমবঙ্গ শাখার পক্ষ থেকে বর্ধমান শাখা। বড়শুলে এই শাখাটি একটি স্টলের ব্যবস্থা করেছিল। এই স্টলে তৃষ্ণার্ত দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে পানীয় জল তুলে দেওয়া হয়।সমস্ত গোঁড়ামির উর্ধ্বে গিয়ে এই সংগঠনটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক শুভ বার্তা দিল। অনেকে অভিযোগ তোলেন যে, এইসব সংগঠন ও মাদ্রাসাগুলি মৌল ও সন্ত্রাসবাদীদের আঁতুড় ঘর। এই সংগঠনটি প্র্যাকটিকালগতভাবে সামাজিক কাজ করে ওই সমস্ত অভিযোগ গুলিকে নস্যাৎ করে দিল বলে অনেকে মনে করছেন। সংগঠনটির পূর্ব বর্ধমান জেলা ইনচার্জ শেখ মুজিবর রহমান বলেন, বড়শুল ছাড়াও বর্ধমান শহরেও এই ধরনের পরিষেবা মূলক ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে পানীয় জল, প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়াও ইসলাম সম্পর্কে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণাগুলো সবিস্তারে বোঝানো হয়।বিনা মূল্যে ইসলামিক বই ও কোরান দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়ে ছিল। এই পরিষেবা মূলক অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তাঁত খন্ড মসজিদের ইমাম হাফিজ আহমাদুল্লাহ,আল ফাতিহা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সানাউল্লাহ,বড় শুল হালকার দায়িত্ব প্রাপ্ত শেখ সাহিবুল,প্রাক্তন ইনচার্জ রবিউল ইসলাম,শিক্ষক একলাখ হোসেন আনসারী প্রমুখ।