দুস্থ ও পথশিশুদের মধ্যাহ্নভোজ দিল আসানসোল মেরিনার্স

লু তুব আলি : ২২ মে দুস্থ ও পথশিশুদের মধ্যাহ্নভোজ দিল আসানসোল মেরিনার্স। আসানসোল মেরিনার্সের পক্ষ থেকে আসানসোল মেরিনার্স এর সদস্য স্বপন সোম তাঁর প্রয়াত স্ত্রী শাশ্বতী সোম এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছিলেন। রবিবার আসানসোলের সংহতি মঞ্চে এই শিশুদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই আয়োজনকে সর্বাত্মকভাবে সাফল্যমন্ডিত করতে অঙ্গীকার ফাউন্ডেশন ও দোলনচাঁপা নজরুল ফাউন্ডেশন অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। আসানসোলের বস্তি এলাকা ও শতাধিক পথশিশুরা আজ পেট ভরে ভাত, ডাল, আলু ভাজা, আলু পোস্ত, মুরগির মাংস, মিষ্টি, চাটনি, আইসক্রিম খাওয়ার সৌভাগ্য হয়। এমনকি মিনারেল ওয়াটারের বোতল ও শিশুদের হাতে তুলে দেয়া হয়। শিশুরা পেট ভরে রাজকীয় খাবার খেতে পেয়ে তারা বেজায় খুশি। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল পৌর কমিশনের কাউন্সিলর তপন ব্যানার্জি, মেরিনার্স এর পক্ষ থেকে সুজিত মুখার্জি, পঙ্কজ রায়, বর্ষীয়ান নবগোপাল মুখার্জি, আইনজীবী গোপাল চক্রবর্তী। দোলনচাঁপার কর্ণধার কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি সোনালি কাজী বলেন, নজরুল অবহেলিত, নিপীড়িত মানুষদের জন্য লেখনীর মাধ্যমে জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন। আসানসোল মেরিনার্স দুস্থ ছেলেমেয়েদের যে খাবারের আয়োজন করেছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। সোম পরিবারের যে আদর্শ সেই আদর্শ নজরুলের আদর্শের সঙ্গে মিল খুঁজে পায়। আসানসোল মেরিনার্স এর পক্ষ থেকে শৈলেন চক্রবর্তী জানান তাঁরা সারা বছরই ধারাবাহিকভাবে সমাজসেবামূলক কাজ করে চলেছেন। সম্প্রতি আসানসোলের চেলোদ উচ্চ বিদ্যালয়ের দুস্থ ছেলে মেয়ে সহ মিড ডে মিলের ২৯ জন রান্ধুনী ও কর্মীসহ এলাকার পিছিয়ে পড়া মানুষদের এক মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। এছাড়াও ডিসেরগড় এর বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী দুর্গা রানা তিনি এখন অসুস্থ ও শয্যাশায়ী। তাঁকে মেরিনার্সে এর পক্ষ থেকে ছয় মাসের খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়।